গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওই পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ। এই অভিযোগ সম্পর্কিত সরকারি মেমো বাতিল করার দাবিতে হওয়া মামলায় রাজ্যের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত দাবি করেন, ‘বোর্ড অব কাউন্সিলার’ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যের আছে। মামলায় প্রশাসক নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করা হলেও ওই বোর্ড ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে মামলাকারীরা নিশ্চুপ। অথচ, আইন ও পদ্ধতি অনুযায়ী প্রথমে বোর্ড ভাঙার (ডিসোলিউশন) পর হয় প্রশাসক নিয়োগ। তাই যদি প্রথম পদক্ষেপটি চ্যালেঞ্জ না করা হয়ে থাকে, তাহলে পরবর্তী স্তরের প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোনও প্রশ্ন তোলা যায় না।
সরকারের তরফে আরও বলা হয়, পুর পরিষেবা অব্যাহত রাখার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারণ, এখন গণপরিষেবা দেওয়াকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোনও কাউন্সিলার বা কাউন্সিলার গোষ্ঠীর স্বার্থ সেই গুরুত্ব পেতে পারে না। তাছাড়া মামলাকারী কাউন্সিলারদের স্বার্থ বা অধিকার (প্রেজুডিস) ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এমন সওয়াল লিখিত মামলায় করা হয়নি। সেই কারণে স্বাভাবিক সুবিচারের দাবি করা যায় না। বলা হয়, পুর পরিষেবা ব্যর্থ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমন দাবি বা তথ্য মামলার নথিতে নেই। অথচ, সওয়ালের সময় বলা হয়েছে, প্রতারণাপূর্বক (ম্যালাফাইডি) বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ, মামলায় তার প্রমাণ পেশ করা হয়নি। পাশাপাশি যে বক্তব্য মামলার নথিতে নেই, তা সওয়ালে দাবি করা যায় না। এই সওয়ালের প্রেক্ষাপটে এদিনের শুনানির শেষ পর্বে বিচারপতি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।