নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এক ফৌজদারি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছিলেন অভিযুক্ত এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল। বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ওই সেনাকর্তার নাম বিক্রম সিং। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের ভারপ্রাপ্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনোদীপ দাশগুপ্ত ওই আদেশ দিয়েছেন। মুখ্য সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত এক মামলায় ওই সেনাকর্তা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছিলেন। কিন্তু তারপর নিম্ন আদালতে গরহাজির থাকায় প্রথমে তাঁর বিরুদ্ধে নোটিস জারি হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় প্রথমে জামিনযোগ্য, পরে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি ওই সেনাকর্তা। সরকারি আইনজীবী বলেন, কিছুদিন আগে এক আইনজীবীর মাধ্যমে ওই সেনাকর্তা কোর্টে একটি চিঠি দিয়ে জানান, সেনাবাহিনীর কাজের চাপেই তিনি কোর্টে হাজির হতে পারছেন না। এই মর্মে সেনাবাহিনীর তরফে একটি চিঠি কোর্টের কাছে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই চিঠি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আদালত লালবাজারের সাইবার অপরাধ দমন শাখাকে নির্দেশ দেয় তদন্তের জন্য। তদন্তের পর তদন্তকারী অফিসাররা জানান, ওই চিঠি জাল। সেনাবাহিনীর তরফে এই ধরনের কোনও চিঠিই দেওয়া হয়নি ওই সেনাকর্তাকে। তারপরই এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সরকারি আইনজীবী এদিন সাংবাদিকদের বলেন, কোর্টের কাছে মিথ্যা নথি পেশ করার জন্য আমরা ওই সেনাকর্তার বিরুদ্ধে আরও একটি পৃথক মামলা করার জন্য কোর্টের কাছে আবেদন জানাব। এদিন ওই সেনা কর্তা আদালতের কাছে জামিনের আবেদন জানান। এমনকী তাঁর আইনজীবীও এনিয়ে দীর্ঘ সওয়াল করেন। কিন্তু সরকারি আইনজীবী তাঁর তীব্র বিরোধিতা করেন। বলেন, ওই অভিযুক্ত যে কাজ করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য। তিনি আদালতকে অন্ধকারে রেখে পার পেতে চেয়েছিলেন। তাই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক।