কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, নতুন করে আসা ছ’টি এসি রেকের মধ্যে তিনটি রেককে এখনও পর্যন্ত পরিষেবায় নামানো হয়েছিল। ত্রুটিপূর্ণ পঞ্চম রেকটিকে চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরিতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত শনিবারের ঘটনাটি ঘটেছে নতুন করে আসা দ্বিতীয় এসি রেকটিতে। সেই রেকটিকে আপাতত মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে রাখা হয়েছে।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এদিন সিআরএস প্রথম পার্ক স্ট্রিট স্টেশন পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেট্রোর উচ্চপদস্থ কর্তারা। পার্ক স্ট্রিটের স্টেশন মাস্টারের অফিসে থাকা সিসিটিভিতে ঘটনার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তিনি। সিসিটিভিতে কারা নজরদারি চালান, প্ল্যাটফর্মের পরিকাঠামো, কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে, কীভাবে ঘটেছে, সেসব ব্যাপারে খোঁজখবর নেন তিনি। সেখান থেকে একটি ট্রেনে চড়ে তিনি চলে যান মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে। এই স্টেশনেই রাখা রয়েছে নতুন আসা দ্বিতীয় এসি রেকটি। সেই রেকের ভিতরে ঢুকে অভিযোগ ওঠা ‘টক ব্যাক ইউনিট’, দরজা সহ অন্যান্য পরিকাঠামো দেখেন সিআরএস। সেখান থেকে মেট্রো ভবনে এসে তিনি কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে। পরে তিনি নোয়াপাড়া কারশেড পরিদর্শন করেন। সেখানে কীভাবে রেকের রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, তাও দেখেন তিনি। দরজা কতটা খোলা থাকলে চালক বা সহকারী চালক নিজেদের কেবিন থেকে তা বুঝতে পারেন, তাও দেখেন তিনি।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এদিন মূলত ‘স্পট ভিজিট’ করেছেন সিআরএস। রেলের নিয়মে ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্পট ভিজিট করতে হয়। ঘটনার মূল তদন্ত শুরু হবে আগামী সোমবার থেকে। সেই সময় মেট্রোর কর্মী, প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের বক্তব্য শুনবেন সিআরএস। ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হবে বলে খবর। এদিন মহানায়ক উত্তমকুমার স্টেশনে সিআরএস বলেন, বিস্তারিত তদন্ত হবে। রেকটির ‘সেফটি ফিচার’ এবং ‘টেকনিক্যাল ফিচার’ দেখা হয়েছে। বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে। সব দিক বিচার করা হবে।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শনিবারের দুর্ঘটনার পর থেকে নতুন করে আসা এসি রেকগুলিকে আর চালানো হয়নি। আপাতত কারশেডে সেগুলিকে পরীক্ষা করা হবে। তার পর পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আপাতত সিআরএস প্রস্তাব দিয়েছেন, প্ল্যাটফর্মের যেদিক দিয়ে ট্রেন বেরিয়ে যায়, সেই প্রান্তে ‘কনভেক্স মিরর’ বসাতে হবে। যাতে চালক প্ল্যাটফর্মের পিছনের অংশটি দেখতে পান। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করা হবে। ট্রেনের দরজা বন্ধ হওয়ার সময়ে যাতে যাত্রীরা কেউ তাড়াহুড়ো করে ট্রেনে চড়ার চেষ্টা না করেন, সেই আর্জি জানিয়েছেন তিনি। মেট্রো সূত্রের খবর, এই সংক্রান্ত ব্যাপারে যাত্রীদের সচেতন করতে স্টেশনগুলিতে জোরদার প্রচার চালানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিআরএসও এ প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন বলে খবর।.