বিএনএ,বারাসত: আংড়াইল সীমান্তে বিএসএফ কর্মীকে বোমা মারার ঘটনায় মূল পাণ্ডাকে গ্রেপ্তার করল গাইঘাটা থানার পুলিস। ধৃতের নাম সুশোভন ঘোষ ওরফে কালিরাম। তার বাড়ি গাইঘাটা থানার আংগারিয়া ঘোষপাড়া এলাকায়। ধৃতকে সোমবার বারাসতের এনডিপিএস কোর্টে তোলা হোলে বিচারক চারদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিস ধৃতকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ পেতে চাইছে। অন্যদিকে, রবিবার রাতেও বাংলাদেশ সীমান্তে গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানদের বোমা ও গুলির লড়াই হয়। ওই ঘটনায় বিএসএফ জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে আট রাউন্ড গুলি চালান। যদিও এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ আংড়াইল সীমান্তে গোরু পাচারকারীদের ছোঁড়া বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন বিএসএফ কর্মী আনিসুর রহমান। বাংলাদেশের পাচারকারীরা বিএসএফ জওয়ানের উপর নৃশংস হামলা চালিয়ে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ ফিরে যায়। কিন্তু চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তির খোঁজ পায় পুলিস। যারা এরা বাংলাদেশের পাচারকারীদের শেল্টার দিত। শুক্রবার রাতে পুলিস বাংলাদেশী পাচারকারীদের দুই আশ্রয়দাতাকে গ্রেপ্তার করে। তাদের জেরা করেই পুলিশ আশ্রয়দাতাদের মূল পাণ্ডা সুশোভনের হদিশ পায়। এরপর রবিবার সন্ধ্যায় গাইঘাটা সীমান্ত এলাকা থেকে সুশোভনকে মাদক সহ হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে গোরুপাচার সহ একাধিক কেস রয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের জওয়ানদের সঙ্গে গোরু পাচারকারীদের সংঘর্ষে হয়। গোরুপাচারে বাধা পাওয়ার পর দেশি বোমা, লাঠি, ভোজালি নিয়ে জওয়ানদের আক্রমণ করে পাচারকারীরা। পাল্টা জওয়ানরা আট রাউন্ড গুলি চালান। যদিও এই ঘটনায় কোনও পাচারকারী জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। জওয়নরা মোট ১৪৩টি গোরু উদ্ধার করেছে। যার আনুমানিক বাজার দর ৮ লক্ষ ৩৭হাজার ৬৩৪টাকা। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতে বসিরহাটের তারালি সীমান্তে গোরুপাচারের সময় বিএসএফ জওয়ান ও পাচারকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে এক পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছিল। অন্যদিকে, রবিবার রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে জওয়ানরা দুই বাংলাদেশের নাগরিককে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছে। তারা ৪০ হাজার ৭৮০ টাকা ভারতীয় মুদ্রা নিয়ে অবৈধভাবে এদেশে ঢুকছিল।