বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন আমদানি ও রপ্তানির কাজে এই রাজ্য তথা দেশের হাজার হাজার ট্রাক বাংলাদেশে যাতায়াত করে। মূলত রপ্তানির জন্য যাওয়া গাড়িগুলি থেকে মাল নামানোর সময় সমস্যা তৈরি করে বাংলাদেশের শ্রমিকরা। বহু বছর ধরেই দ্রুত ট্রাক থেকে মাল নামানোর পর গাড়ির চালকরাই খুশি হয়ে খালাসিদের টাকা দিত। প্রথম দিকে দেওয়া হতো গাড়ি পিছু ১০ থেকে ১২ টাকা। এখন সেটা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে নানান সমস্যার কারণে রপ্তানির কাজ কিছুটা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে কম গাড়ি ঢুকছে। ফলে যেসব গাড়ি যাচ্ছে তাদের উপর বকশিসের নামে তোলাবাজির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। মাস আটেক আগে এই বিষয়ে এই রাজ্যের আধিকারিকদের পাশাপাশি বাংলাদেশের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক হয়। তাতে বকশিস হিসেবে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা স্থির করে দুই পক্ষ। কিন্তু সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার থেকে এখন অনেক বেশি টাকা দাবি করা হচ্ছে । টাকা না দিলে চালককে মারধর, গাড়ি থেকে মাল চুরির ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ। এর ফলে ক্ষিপ্ত গাড়ির মালিক ও শ্রমিক সংগঠন আন্দোলনে নামে। বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সহ পাঁচটি সংগঠনের নেতা কর্মীরা এদিন সকাল ৬টা থেকে পণ্য পরিবহণের কাজ বন্ধ করে দেন। বিকেল ৪টা নাগাদ বাংলাদেশ সরকারের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দিলীপ দাস বলেন, বহু আগে থেকেই গাড়ি বাংলাদেশে ঢুকলে শ্রমিকদের টিপস বা বকশিস দেওয়ার চল রয়েছে। প্রথম দিকে ১০ থেকে ১২টাকা বকশিস দেওয়া হতো। এখন বলছে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিতে হবে। বনগাঁ থেকে গাড়ি নিয়ে গিয়ে ৬ হাজার টাকা পাওয়া যায়। তার মধ্যে চার হাজার টাকা খরচ। সাড়ে তিন হাজার টিপস দিতে গেলে কী গাড়ি চালানো সম্ভব? বাংলাদেশ সরকারের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন থেকে আমরা সরে এসেছি। সমস্যা সমাধান না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।