রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত শনিবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই ঘটনার পরই মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি সি শর্মা উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তের জন্য মেট্রোর তিন অফিসারকে নিয়ে একটি কমিটিও গঠিত হয়েছিল। কিন্তু, রেলবোর্ড সিআরএসকে দিয়ে তদন্ত করার কথা ঘোষণা করতেই মেট্রো রেলের তরফে আলাদা করে তদন্ত চালানো হবে না বলেই খবর। যদিও এদিনই মেট্রো কর্তৃপক্ষ চালক এবং গার্ডকে সাসপেন্ড করেছে।
অন্যদিকে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার রাতেই শেক্সপিয়র সরণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে পুলিস ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (এ) এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করেছে। তদন্তে চালক ও সহকারী চালকের পাশাপাশি মেট্রোর বড় কর্তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকার সুযোগ রয়েছে। অভিযোগকারীর বক্তব্যও রেকর্ড করা হবে বলে পুলিস সূত্রের খবর।
গত বছরের শেষের দিকে মেট্রোয় চলন্ত ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাতেও ‘চিফ কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’র (সিসিআরএস) নির্দেশে তদন্ত করেছিল ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’। শনিবারের ঘটনাতেও সেই কাণ্ডেরই পুনরাবৃত্তি হল। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রেলবোর্ডের নির্দেশে শনিবারের ঘটনার তদন্ত করবেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনে থাকা সিআরএস।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, চলন্ত ট্রেনে হাত আটকে যাওয়ায় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। এই ঘটনার কাটাছেঁড়ায় একদিকে যান্ত্রিক ত্রুটি, অন্যদিকে কর্মীদের ভ্রান্তি—দুই-ই সামনে আসছে। প্রথমত, দরজায় কিছু আটকে গেলে প্রথমে দরজা বার বার খোলা-বন্ধ হতে থাকবে এবং পরে দরজা পুরোপুরি খুলে যাওয়ার কথা। দরজা পুরোপুরি বন্ধ না হলে ট্রেন চলার কথা নয়। দরজা খোলা থাকলে চালক ও গার্ড বা সহকারী চালকের কেবিনে লাল আলো জ্বলার কথা। কিন্তু এসব না হওয়ায় যান্ত্রিক গোলযোগের অভিযোগ উঠছে। তার সঙ্গে জোরের সঙ্গে উঠছে ‘হিউম্যান এরর’-এর বিষয়টিও।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, ট্রেনে যাত্রীদের ওঠা-নামার জন্য দরজা খোলা-বন্ধ করার কাজটি করেন সহকারী চালক বা গার্ড। দরজা বন্ধ করার আগে তাঁকে দরজাগুলির বাইরের চিত্র দেখে নিতে হয়। সেক্ষেত্রে ট্রেনের একেবারে পিছনে থাকা সহকারী চালক নিজেই সরাসরি সামনের চারটি বগির দরজা দেখে নিতে পারেন। কিন্তু আরও সামনের দিকের বগিগুলির দরজার চিত্র দেখতে তাঁকে সিসিটিভি’র সাহায্য নিতে হয়। সহকারী চালকের কেবিনের পাশে প্ল্যাটফর্মে থাকে সেই সিসিটিভি। একজন যাত্রী হাত আটকানো অবস্থায় ট্রেন থেকে কার্যত ঝুলছেন, এই দৃশ্য কীভাবে তাঁর নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্ন উঠছে। যেমন প্রশ্ন উঠছে প্ল্যাটফর্মে থাকা মেট্রোর অন্যান্য কর্মী, সিসিটিভিতে নজরদারির দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ভূমিকা নিয়েও।