রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাসের কাচ ভেঙে যাত্রীরা কোনওভাবে বেরিয়ে আসেন। যদিও তাঁদের শরীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় আঘাত লাগে। ম্যাটাডরটি থেকে দু’জনকে উদ্ধার করা গেলেও একজন খালাসি আটকে পড়েন। গ্যাস কাটার দিয়ে কলকাতা পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং দমকলের আধিকারিকরা রাত পর্যন্ত ওই খালাসিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালান। ক্রেন নিয়ে এসে গাড়ি দু’টিকে ডাঙায় তুলে আনা হয়। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ম্যাটাডরটি এমনভাবে উল্টে আটকে গিয়েছে, তাতে খালাসিকে বের করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্রথমে ভিতর থেকে খালাসির গোঙানির আওয়াজ পাওয়া গেলেও, পরে তা বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, পুলিস জানিয়েছে, ছ’জনকে উদ্ধার করে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন। এদিন এই ঘটনার জেরে বাসন্তী হাইওয়ের উপরে তীব্র যানজট হয়। সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাসন্তী হাইওয়েতে গাড়িগুলির গতির কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। যার জেরে আগেও দুর্ঘটনা হয়েছে। এদিনও ওই দু’টি গাড়ির সংঘর্ষের পিছনে নিয়ন্ত্রণহীন গতিই দায়ী বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।
বাসের যাত্রীরা জানিয়েছেন, বাসটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলছিল। সায়েন্স সিটি পেরিয়ে বাসন্তী হাইওয়েতে উঠতেই গতি আরও বেড়ে যায়। বাস ভর্তি যাত্রী ছিলেন। একটি বাস পিছন থেকে আসায় সেটির সঙ্গে রেষারেষি চলছিল। আচমকাই কয়লা ডিপোর কাছে একটা বিকট আওয়াজ পাই। সঙ্গে সঙ্গে বাসের আলো নিভে যায় এবং আমরা একে অপরের উপরে গিয়ে পড়ি। বাসটি রীতিমতো কাত হয়ে গিয়ে খালে গিয়ে পড়ে। আমরা বাসের মধ্যে আটকে পড়ে চিৎকার করতে শুরু করি। কোনওভাবে বাসের কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসি। প্রথমে শিশুদের বের করা হয়। তারপর আমরা বের হই। এতে অনেকের মুখের অংশ এবং হাত-পা কেটে গিয়েছে। স্থানীয়রা এসে হাত লাগায়। পুলিস জানিয়েছে, দু’টি গাড়ির গতি এতটাই ছিল যে, মুখোমুখি সংঘর্ষে অনেকটা দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ে।