কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুর থানার সাহেবপাড়ার বাসিন্দা অশোক রায়। এক সহকর্মী তাঁর হাত দেখে বলেন, গ্রহের ফেরে আর্থিক অবস্থা ভালো যাবে না। সেই কারণে অশোকবাবুকে রত্নধারণের পরামর্শ দেওয়া হয়। মালদহে এক পরিচিত রত্ন ব্যবসায়ীর কাছে গেলে তা পাওয়া যাবে বলে জানান সহকর্মী। ভাইপো বিশ্বজিৎ মালদহে থাকেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন অশোকবাবু। সেই ভাইপোও ওই রত্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কেনার ব্যাপারে সায় দেন। গত ৬ জুলাই রাতে অশোকবাবু মালদহ গিয়েছিলেন। ৭ জুলাই ভোরে মালদহ স্টেশনে পৌঁছন। কিন্তু, সেখানে পৌঁছে বারবার ফোন করে রত্ন ব্যবসায়ীকে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত মালদহ শহরে আম কিনতে যাবেন বলে একটি ছোট হাতি গাড়িতে ওঠেন। তাঁর সঙ্গে বিশ্বজিৎও ছিলেন।
পুলিস জানিয়েছে, গাড়িটিতে আরও চারজন যুবক ছিল। সেই গাড়িতে করে তাঁদের কালিয়াচকের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। এদিন পুলিস সুপার বলেন, অপহরণকারীরা অশোকবাবুর স্ত্রীকে ফোন করে আট লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। না দিলে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। স্ত্রী অপর্ণাদেবী তাতে ভয় না পেয়ে সোনারপুর থানাকে জানান। তার ভিত্তিতে তাঁকে অপহরণকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে বলা হয়। শুধু তাই নয়, আট লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় অপহরণকারীদের। সেইমতো ১০ জুলাই ভোরে গাড়িতে সোনারপুর থানার একটি দল মালদহ চলে যায়। সেখানে আগে থেকে ইংলিশবাজার থানায় কথা বলে নেওয়া হয়েছিল।
অপর্ণাদেবী ট্রেনে গিয়ে ১১ জুলাই মালদহ নেমে রথতলাতে অপহরণকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে টাকার ব্যাগ তুলে দেওয়ার আগে স্বামীকে দেখতে চান। পাশের এক গলি থেকে অশোকবাবু হাত দেখান। সেই সময় পিছনে থাকা সাদা পোশাকের পুলিস চারপাশ ঘিরে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে। পুলিস জানিয়েছে, বাকিদের খোঁজ চলছে। সুপারভাইজার অশোক রায়।