পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী বলেন, বিজেপির মদতে এলাকার বেশকিছু মানুষ সরকারি প্রকল্পের বাড়ি ও ১০০ দিনের হিসাব চাইতে থাকে আমার বাড়িতে এসে। আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি হিসাব আমার বাড়িতে নেই, পঞ্চায়েতে রয়েছে। কোনও কথা না শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। আমার গাড়ি ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বিজেপি নেতা পিনাকী মালিক বলেন, গরিব মানুষদের কাছ থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। গত ২৫ জুন বিজেপির পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল গ্রামসভার মাধ্যমে বসে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গত ১০ জুলাই পুনরায় পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখায় আমাদের কর্মীরা এবং পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ওইদিন স্থানীয় পুলিস-প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ থেকে বিরত হয় বিজেপি কর্মীরা।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য গ্রামবাসী জেজুর পঞ্চায়েতের রাজবল্লভবাটিতে তাঁর বাড়িতে হাজির হয়। বারে বারে অনুরোধ করলেও আলোচনায় বসতে রাজি হননি উপপ্রধান। এরপর উত্তেজিত হয়ে পড়ে গ্রামবাসী। বিজেপির দাবি, আমাদের কর্মী ও গ্রামবাসীর নামে মিথ্যে ভাঙচুরের অভিযোগ তোলা হয়। তখন উত্তেজিত গ্রামবাসীর উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিস। বিজেপির অভিযোগ, লাঠিচার্জের হাত থেকে বাদ পড়েননি মহিলারাও। লাঠিচার্জের বিরুদ্ধে গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ পুলিসের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী বুধবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানালে বিক্ষোভ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা।
হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না বলেন, পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল চক্রবর্তী একজন সৎ মানুষ। নিজস্ব ৫০ বিঘার উপর কৃষিজমি রয়েছে। এলাকায় গরিবের ডাক্তার বলে পরিচিত। গরিব মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন। বিজেপি স্থানীয় মানুষকে উস্কানি দিয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কখনই বেশিদিন রাখা যায় না। বিজেপির এই উদ্দেশ্য সফল হবে না।