কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, আমিরুল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক হিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তরের ছাত্র ছিল। পড়াশোনার জন্য এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই সে রয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই ছাত্রের সঙ্গে হস্টেলেই থাকেন অভিযোগকারী আব্দুস সালাম। তিনিও ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর কোর্সের পড়ুয়া। হস্টেলে থাকার সুবাদে দুজনের মধ্যে পরিচয় হয়। কথায় কথায় অভিযুক্ত ওই ছাত্রকে জানায়, টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক ও হাইস্কুলে চাকরি পাওয়া সম্ভব। তার সঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের বড় কর্তাদের যোগাযোগ রয়েছে। এরই মাঝে স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে কয়েকজনের ফোনও আসে। এরপরই টাকা দিতে রাজি হয়ে যান আব্দুস। অভিযোগে ওই ছাত্র জানিয়েছেন, তাঁর কাছে আট লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তবে একবারে নয়, ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হবে জানায় আমিরুল।
আব্দুস সালাম লিখিত অভিযোগে বলেছেন, প্রথমে তাঁর থেকে এক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এরপর তাঁর কাছে বেশ কিছু ফোন আসে। তাঁরা নিজেদের শিক্ষা দপ্তরের অফিসার বলে পরিচয় দেন। এরপর তাঁর কাছ থেকে আরও দেড় লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। তবে এবার টাকা নিজে নেননি আমিরুল। আব্দুসকে অন্য এক জায়গায় নিয়ে যায় সে। সেখানে তাঁর সঙ্গে একজনের পরিচয় করিয়ে দেয়। ওই ব্যক্তি জানায়, সে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় দেখভাল করে। অভিযোগকারী ছাত্র পুলিসকে জানিয়েছেন, এই পর্যায়ে তাঁর কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। এরপর একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট দেখায় প্রতারক। তাতে ওই ছাত্রের নাম তুলে দেয় চক্রের সঙ্গে জড়িত লোকজন। তা দেখে সন্দেহ হয় আব্দুসের। বিষয়টি নিয়ে তিনি খোঁজখবর শুরু করেন। জানতে পারেন, কোনও রেজাল্টই বেরয়নি। এর মাঝে বেপাত্তা হয়ে যায় আমিরুল। তার সঙ্গে কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না অভিযোগকারী। তখনই তিনি বুঝতে পারেন প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। এরপরই বুধবার রাতে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেন তিনি। তার ভিত্তিতে প্রতারণা, জালিয়াতি সহ একাধিক ধারায় কেস রুজু করে রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় ওই ছাত্রকে। ধৃত জেরায় জানিয়েছে, স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তারা বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। একটি চক্র চালাচ্ছে তারা। তাতে আরও অনেকে রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ ছাত্র রয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস।