রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে নৌকা আটকে রাখার জন্য মৎস্যজীবীদের রোষানলে পড়েন পাথরপ্রতিমার রেঞ্জ অফিসার বিমল মাইতি। শতাধিক মৎস্যজীবী দলবল নিয়ে পাথরপ্রতিমার ধনচি বিট অফিসে গিয়ে বিমলবাবুকে ঘেরাও করে। এরপর তাঁকেও মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছিল অফিস। তাতে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন বিমলবাবু। তার রেশ কাটার আগেই এদিন ফের আরও একজন রেঞ্জ অফিসারের উপর হামলার ঘটনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বন আধিকারিক ও কর্মী মহলে অসন্তোষ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য অনেকে জেলা বন আধিকারিকের তুঘলকি নির্দেশকে দায়ী করেছে। বন দপ্তরের কর্মচারী সংগঠন ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক অমল সিনহা বলেন, একের পর এক ঘটনা ঘটলেও বন দপ্তরের উপরমহলের কোনও হেলদোল নেই। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বন বিভাগের আধিকারিকের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে এদিন তিনি অরণ্যভবনে পিসিসিএফের সঙ্গে দেখা করে রেঞ্জ অফিসারদের নিরাপত্তার দাবি জানান।
সুন্দরবনে কয়েক লাখ মৎস্যজীবী নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই হিসেবে এই কাজের জন্য প্রত্যেকের যন্ত্রচালিত ভুটভুটি রয়েছে। তার সংখ্যা অনেক। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস ধরে যন্ত্রচালিত ভুটভুটি করে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। যা নিয়ে সংঘাত বেধেছে জেলার মৎস্যজীবী সংগঠন ও বন বিভাগের সঙ্গে। গত মাসে এই বিষয় নিয়ে ক্যানিং টাইগার প্রজেক্ট অফিসের সামনে দু’দিন ধরে অবস্থান বিক্ষোভ হয়। সেখানে অন্য দাবিদাওয়ার সঙ্গে যন্ত্রচালিত নৌকা নিয়ে জঙ্গলে মাছ ধরতে দিতে হবে বলে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু এ নিয়ে কোনও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়নি। তাতেই আরও ক্ষোভ তৈরি হয় জেলার কয়েক লাখ মৎস্যজীবীর মধ্যে।
বৃহস্পতিবার নদীতে মাছ ধরার অনুমতি চাইতে মৈপীঠ, রায়দিঘি ও কুলতলি তিনটি থানা থেকে চারশো মৎস্যজীবী কুয়েমারি যান। সেখানে অনুমতি দেওয়া নিয়ে রেঞ্জার অশোক মাইতির সঙ্গে কথা হয়। আলোচনার মধ্যেই অশোকবাবু জানিয়ে দেন, উপরের নির্দেশ অনুসারে যন্ত্রচালিত কোনও নৌকাকে অনুমতিপত্র দেওয়া হবে না। এ নিয়ে বচসা বাধে। আচমকা মারমুখী হয়ে ওঠেন মৎস্যজীবীরা। অশোকবাবুকে ঘর থেকে বাইরে টেনে আনা হয়। সহকর্মীরা ভয়েতে আগেই গা ঢাকা দেন। এই পরিস্থিতিতে অশোকবাবুকে টেনে বার করে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। বাকি বনকর্মীরা অবশ্য তার আগেই গা ঢাকা দেন। এর আগে কুলতলিতে বাঘ মারার ঘটনায় যুক্তদের গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ডিএফও সন্তোষা জি আরসহ কয়েকজন মারমুখী জনতার হামলায় জখম হন। বেশ কয়েকদিন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ঝড়খালিতেও এমন একটি ঘটনার জন্য নিগৃহীত হয়েছিলেন এক বিট অফিসার।