কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা নারায়ণপুরে মেন রোডের দুধারে দোকানের বেরিয়ে থাকা অংশে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। নারায়ণপুরে ৯১ সি বাস রুটে রাস্তার দুধারে দোকানের সামনে ঝুলে থাকা বাঁশ, কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়। দোকানিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, রাস্তা দখল করে দোকান করা যাবে না। স্থানীয় বাসিন্দা নাসিম আহমেদের বক্তব্য, একজন হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে আমরা বাজার দিয়ে নিয়ে আসছিলাম। কিন্তু, যানজটের কারণে তাঁকে সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারিনি। তাঁকে আর বাঁচাতে পারলাম না। তাই আমরা নারায়ণপুর বাজারে অবরোধ করেছি। আমরা চাই এই বাজার যেন যানজট মুক্ত থাকে। এক বাসিন্দার বক্তব্য, চার মাস আগে এই বাজার যানজট মুক্ত করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তারপর আবার সেই একই অবস্থা হয়েছে।
পুলিস সূত্রের দাবি, যানজটে অ্যাম্বুলেন্স আটকে রোগী মৃত্যুর যে অভিযোগ উঠেছে তা ঠিক নয়। আমরা জানতে পেরেছি ওই রোগীর মৃত্যু অনেক আগেই হয়েছিল। এ বিষয়ে নারায়ণপুরে অবস্থিত বিধাননগর পুরসভার ওই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা উৎপল গোস্বামী বলেন, রোগীর কখন মৃত্যু হয়েছে তা আমরা বলতে পারব না। ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে কখন মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে পুরসভার স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান শাহনওয়াজ আলি মণ্ডল বলেন, গরিব মানুষ করে খাচ্ছেন, তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু, সবার স্বার্থে রাস্তার জায়গাটি পরিষ্কার রাখা দরকার। কারণ ওখানে যদি কখনও আগুন লাগে তখন দমকলের গাড়িও ঢুকতে পারবে না। ফলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে, আরেকটি মতও উঠে এসেছে যে, রাস্তা এমনিতেই ছোট। তা সত্ত্বেও যেখানে সেখানে বাইক, গাড়ি লাগানো থাকে। যার ফলে সমস্যা বাড়ে। পুলিস সূত্রের দাবি, এরপর ওই রাস্তা যাতে পরিষ্কার থাকে তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।