বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বিএসএফ জানিয়েছে, যে দু’জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা। ধৃতদের নাম মিঠুন হালদার ও নুরজাহান বেগম। মিঠুনের বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায় এবং নুরজাহানের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। তারা চোরাপথ দিয়েই সীমান্ত টপকে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিল। তাদের পাসপোর্ট ও ভিসা কিছুই নেই। একমাস কাজ করার তারা বাড়ি ফিরছিল। ধুর সিন্ডিকেটের হাত ধরে তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য কলকাতা থেকে সীমান্তে গিয়েছিল। মিঠুন ও নুরজাহান দু’জনেই ধৃত ধুরের দুই পাণ্ডাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যার মুখে ওই দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে মোহিত ও জহিরুল হাকিমপুর সীমান্তে যায়। সেখানে অস্পষ্ট অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে তাদের দু’জনকে পার করানোর কথা ছিল। কিন্তু, তার আগেই বিএসএফের নজরে পড়ে তারা। তাদের পিছু ধাওয়া করে চারজনকেই আটক করে বিএসএফ। তারপর পুলিসের হাতে তুলে দেয়।
বিএসএফ ও পুলিস জানিয়েছে, ধৃত মোহিত ও জহিরুল দু’জন কুখ্যাত ধুর সিন্ডিকেটের পাণ্ডা। দু’জনের তরুণ। মোহিতের বয়স মাত্র ২০ বছর। জহিরুলের বয়স ৩০ বছর। তারা বিগত তিন বছর ধরে এই ধুরের চক্রের সঙ্গে যুক্ত। চোরাপথে সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশের এ পারে ঢোকানোর ব্যবস্থা করত। এবং তাদের এপার থেকে বাংলাদেশে পাঠানোরও ব্যবস্থা করত। সেই সঙ্গে তারা এই তিন বছরে কতজন বাংলাদেশিকে ভারতে ঢুকিয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই তিন বছরে তারা কত টাকা মুনাফা করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, তাদের সঙ্গে আরও কতজন সঙ্গী রয়েছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে।