বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ডহারবার জুড়ে সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের কোটি কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। এরমধ্যে ডায়মন্ডহারবার শহরে গঙ্গার ধার ধরে সাজানোর কাজ। এর বাইরে হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি মাণ্ডিসহ আরও অনেক জায়গাতে নির্মাণ কাজ চলছে। সব জায়গাতে পূর্ত দপ্তরের নিয়ন্ত্রণে সরকারি নথিভুক্ত ঠিকাদার সংস্থা কাজ করছে। অভিযোগ, ওই সব জায়গাতে বালি, পাথর, সিমেন্ট, ইট সাপ্লাই দেওয়ার জন্য ডায়মন্ডহারবার শহর ও পঞ্চায়েত এলাকায় সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। আরও অভিযোগ রীতিমতো চাপ দিয়ে সিন্ডিকেট মাল নিতে বাধ্য করে। কোনও ঠিকাদার সংস্থা না নিতে চাইলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোথাও লরি আটকে দেওয়া হয়। কোথাও হুমকি দেওয়া হয়।
এলাকায় সকলেই জানে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেটের পিছনে শাসকদলের মেজ, সেজো ও ছোট নেতাদের মদত থাকায় কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করে না। ডায়মন্ডহারবারের সরিষা এলাকায় সরকারি একটি কাজের বরাত পেয়েছিলেন ঠিকাদার গৌতম দত্ত। অভিযোগ, তাঁর কাছে তোলা চেয়ে অনেক আগে থেকে দাবি করে আসছিল সরিষা পঞ্চায়েতের সদস্য মুজাদিন শেখ ও তার সঙ্গীরা। শুধু তাই নয়, তাদের কাছ থেকে পাথর, বালি, সিমেন্ট না নিলে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের একটি অংশ জানিয়েছে, মুজাদিন দলীয় ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে অনেকদিন ধরে দাদাগিরি ও তোলাবাজি চালাচ্ছিল। কিন্তু ভয়ে কেউ কোনও প্রতিবাদ করতে পারছিল না। ঠিকাদার গৌতমবাবু পুলিসের কাছে অভিযোগ করেছেন, মুজাদিন ও তার সঙ্গীরা জোর করে মাল নিতে হবে চাপ দিচ্ছিল। এ ব্যাপারে রাজি না হওয়াতে তাঁকে মারধর করা হয়। নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। তার জেরে সামগ্রিকভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। ফলে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে পাথরের গাড়ি এলে তার মাল নামাতে দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছিল। এই পরিস্থিতি নিরাপত্তা ও কাজের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জন্য পুলিস ও প্রশাসনের শরণাপন্ন হতে হল।