বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
সোমবার সন্ধ্যায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সমবায়মন্ত্রী তথা হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অরূপ রায়, আর এক সদস্য বিদায়ী মেয়র রথীন চক্রবর্তী ও পুরসভার কমিশনার বৈঠকে বসেন। সেখানে প্রত্যেকটি ফাইল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কর্মীদের দীর্ঘদিন বেতন না দেওয়ায় এলাকায় পরিষেবা যে বিঘ্ন হচ্ছে, তা তাঁরা স্বীকার করে নেন। তারপরই সিদ্ধান্ত হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই তাঁদের দু’মাসের বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া গত অক্টোবর মাসে নিয়োগ হওয়া ৪১৯ জন কর্মীর বেতনও আজ অথবা কাল মিটিয়ে দেওয়া হবে।
অরূপবাবু বলেছেন, বিভিন্ন বিভাগের কর্মীদের বেতন অনেকদিন ধরেই আটকে ছিল। আমরা প্রত্যেকটি কেস ধরে ধরে তার সমাধান করেছি। চলতি সপ্তাহেই প্রত্যেকের বেতন দিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া শহরের পুর পরিষেবা যাতে ঠিক থাকে, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। বর্ষা প্রায় এসে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টি হওয়ার আগেই নিকাশি নর্দমাগুলি পরিষ্কার করা হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুর পরিষেবা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই কারণেই পুরমন্ত্রী দফায় দফায় হাওড়ায় এসে পরিষেবা নিয়ে বৈঠক করছেন। কয়েকদিন আগে দলীয় অফিসে তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলারদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এবার লোকসভা ভোটে হাওড়া পুরসভা এলাকার ৬৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় ২৫টিতে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে। আগামী বছরই কলকাতা পুরসভার সঙ্গে হাওড়া পুরসভার ভোট করানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তার আগে শহরের পুর পরিষেবায় যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে, সেদিকেই নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
পুরসভায় জঞ্জাল সাফাই, বাড়ি বাড়ি সমীক্ষায় যাওয়া স্বাস্থ্যকর্মী, শ্মশানে কাজ করা কর্মী, বিভিন্ন পার্কের নিরাপত্তারক্ষীদের বেতন গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ঠিকমতোই দেওয়া হচ্ছিল। প্রায় তিন হাজারের বেশি কর্মী এই সমস্ত বিভাগে কাজ করেন। কিন্তু, ডিসেম্বরে বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পর তাঁদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে পুরসভায় ৪১৯ জনকে নিয়োগ করা হয়। তাঁদের বেতনও এতদিন দেওয়া হয়নি। যদিও গত প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠকেই তাঁদের বেতন দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, বাকি কর্মীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে যাওয়ায় পুর পরিষেবায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছিল। সেই কারণেই তাঁদের বেতন যাতে দ্রুত দেওয়া যায়, তা নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় পুরসভার কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন, দ্রুত তাঁদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকেই তাঁদের বেতন দিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। এতদিন জঞ্জাল সাফাই ও নর্দমা পরিষ্কারের কাজের একটি অংশ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা থেকে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, এই প্রকল্পের টাকাও অনেকদিন আটকে আছে। তাই আপাতত পুরো টাকাই পুরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে আপাতত দিয়ে দিতে হবে। এই প্রকল্পের টাকা পাওয়া গেলে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে। এতে শহরের পুর পরিষেবার মান কিছুটা বাড়বে বলেই অনেকে মনে করছেন।