বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
এই পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৩টি। তারমধ্যে একজন নির্দল কাউন্সিলার সংশোধনাগারে রয়েছেন। বাকি ২২টি আসনের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান রাজা দত্ত সহ তিনজন কাউন্সিলার অর্জুন সিং নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হওয়ার পর বারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভায় পালাবদল হতে শুরু করে। কাঁচরাপাড়া পুরসভায় রাতারাতি বিজেপি বোর্ড গঠন করে। সেই পথে হেঁটে হালিশহরে পুরসভায় গেরুয়া বাহিনী থাবা বসায়। চেয়ারম্যান অংশুমান রায় সহ অধিকাংশ কাউন্সিলার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। মাত্র ৩ জন কাউন্সিলার তৃণমূল ছেড়ে যাননি। তবে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পুরসভার চেয়ারম্যান একদিনও পুরসভামুখো হননি। বোর্ড মিটিংও হয়নি।
অন্যদিকে, ভাইস চেয়ারম্যান রাজা দত্ত নিয়মিত পুরসভায় গিয়েছেন। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বিজেপি বোর্ড আসার পরই সেখানে বহু কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। পুরসভায় ক্ষমতা দেখানোর রাজনীতি শুরু হয়। পুরসভার চেয়ারম্যান অফিস না আসার কারণে তিনিও দলে থেকেও ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়তে থাকেন। অনেক কাউন্সিলারও দল পরিবর্তন করার পর সেরকম গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না। ফলে, মাসখানেক যেতে না যেতেই তাঁরা ফের পুরনো দলেই ফিরে আসেন। সদ্য বিজেপি ছেড়ে ফের তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাউন্সিলার প্রণব লৌহ বলেন, বিজেপিতে আসার পর আমাদের দমবন্ধ হয়ে আসছিল। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। ঠিকমতো করে ঘর থেকে বের হতে পারছিলাম না। দলের একটি অংশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। আমাদের দলে কোনও গুরত্ব ছিল না। তাই আমরা নিজের ঘরেই ফিরে এলাম।
পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় বলেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও আমি মানসিকভাবে মেনে নিতে পারিনি। তাই পুরসভাতেও যাইনি। বোর্ড মিটিংও হয়নি। এর মধ্যেই বোর্ডে কোনও আলোচনা না করেই ৬০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। পুরসভার আধিকারিকদের বিজেপি দলেরই একাংশ নানাভাবে হেনস্তা করেছে। পুরসভায় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। বিষয়টি বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে বার বার বলেছিলাম। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। বরং, যতদিন গিয়েছে পুরসভায় বিজেপির একটা অংশ দাপিয়ে বেড়িয়েছে। তাই তৃণমূলে ফিরেছি। আগে তৃণমূলে ৩ জন ছিলেন। আর এদিন ৯ জন কাউন্সিলার যোগ দিয়েছি। ফলে, ওই পুরসভায় বোর্ড এবার তৃণমূল গড়বে।
অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়কে বার বার ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিজেপি নেতা তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজা দত্ত বলেন, নিজের ইচ্ছায় সকলে বিজেপিতে গিয়েছিল। কাউকে জোর করা হয়নি। এখন কেন তারা তৃণমূলে ফিরে গেল তা ওরা বলতে পারবে। আর ১০০ দিনের কাজ হিসাবে ওই কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। তার জন্য বোর্ডের অনুমোদন লাগে না। পুরসভায় পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। এটুকু বলতে পারি, এই পুরসভার বোর্ড বিজেপির দখলেই থাকবে।