আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ওই ‘ধর্ষিতা’ প্রতিবন্ধীর বাড়ি বারাসতের মাকড়শাপুকুর এলাকায়। বয়স ৩২ বছর। তিনি হাঁটতে পারেন না। পা ও হাতের উপর ভর দিয়ে কার্যত হামাগুড়ি দিয়েই চলাফেরা করেন। অভিযুক্ত অজিত সরকারের বাড়িও ওই এলাকায়। তার বয়স ৫২ বছর। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর ওই প্রতিবন্ধীর দাদা বারাসত থানায় অজিৎ সরকারের বিরুদ্ধে বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ, অজিত বেশ কয়েক মাস ধরে ওই প্রতিবন্ধীকে লাগাতার ধর্ষণ করেছিল। কাউকে বললে, মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিয়েছিল। লাগাতার ধর্ষণের জেরে ওই প্রতিবন্ধী যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন। তারপরই বিষয়টি জানাজানি হয়। পরবর্তীকালে বারাসত জেলা হাসপাতালে ওই ‘ধর্ষিতা’ প্রতিবন্ধী একটি মৃত সন্তানও প্রসব করেন। অভিযোগ দায়ের হওয়ার দু’দিন পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তারও হয়। কিন্তু, মাস কয়েক পর জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। তারপর সে ‘ধর্ষিতা’কে এবং তাঁর বাড়ির লোকজনকে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই মামলা জানতে পারার পর বারাসত জেলা আদালতের তিনজন আইনজীবী সঞ্জিত ঘোষ, তনুশ্রী মুখোপাধ্যায় এবং নীলজিৎ দাস এই মামলাটি নিয়ে আদালতে দরবার শুরু করেন। তাঁরা জানান, দু’মাস আগে বারাসত জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট অভিযুক্ত অজিত সরকারকে গ্রেপ্তার করার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। কিন্তু, পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নির্যাতিতা পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে। সাক্ষীদের আদালতে হাজির হতে দেবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে যখন ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, তখনও সে টাকা দিয়ে মেটানোর পরামর্শ দিয়েছিল। কোনও নার্সিংহোম থেকে ‘ধর্ষিতা’ প্রতিবন্ধীকে গর্ভপাত করানোরও পরামর্শ দিয়েছিল। সে রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবশালী। তাই আমরা এদিন জেলা জজ মহম্মদ সাব্বার রসিদি’র কাছে অভিযুক্তর জামিন বাতিল করার আবেদন করি। সেই সঙ্গে কাস্টডি ট্রায়ালেরও আবেদন জানানো হয়। সার্ভিস রিটার্ন খতিয়ে দেখে জেলা জজ পরবর্তী নির্দেশ দেবেন। পাশাপাশি, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল, এদিন জেলা জজ সেই নির্দেশকে অব্যাহত রেখেছেন।