আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
কলকাতা পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী জানিয়েছে, অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক একদিকে দু’রাউন্ড কার্তুজ সামনে রেখে, বাবা-মা সহ তাকে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। তেমনই নিজের মোবাইল ফোনে ওই নাবালিকার অর্ধনগ্ন ছবি তুলে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখাত অভিযুক্ত শিক্ষক।
ঘটনার সূত্রপাত বছর দুয়েক আগে। ১/৭ নেতাজিনগরের বাসিন্দা রাজীব চক্রবর্তীর কাছে সায়েন্স গ্রুপের জন্য টিউশন পড়তে শুরু করে ওই ছাত্রী। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, নিগৃহীতা ছাত্রীর বাবা-মা পেশার তাগিদে বাড়ির বাইরে থাকেন যখন, সেই সময়কেই টিউশন পড়ানোর জন্য বেছে নিয়েছিল অভিযুক্ত শিক্ষক। অভিযোগ, প্রথম থেকেই নানা অছিলায় ছাত্রীর গায়ে হাত দিত সে। তাছাড়াও মাঝেমধ্যে নিজের নেতাজিনগরের বাড়িতেও ডেকে ধর্ষণ করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। কীভাবে এই জঘন্য অপরাধ প্রকাশ্যে এল? বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ছাত্রী মনমরা ও উদাসীন ছিল। পাশাপাশি তার স্বাস্থ্যেরও অবনতি হতে শুরু করে। বিষয়টি নজর এড়ায়নি তার মায়ের। মা চেপে ধরতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে ওই নাবালিকা। তারপর সোমবার রাতে স্থানীয় বাঁশদ্রোণী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। গৃহশিক্ষকের নেতাজিনগরের বাড়িতে আলমারির তল্লাশি চালিয়ে পুলিস দু’রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে। এই কার্তুজ উদ্ধারের ঘটনায় নেতাজিনগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস জানতে পেরেছে, বিএসসি পাশ ওই গৃহশিক্ষকের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তার ছেলে জার্মানিতে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। নেতাজিনগরের বাড়িতে কোচিং সেন্টার চালানোর পাশাপাশি রুবির কাছে একটি কোচিং সেন্টারে গিয়েও সে পড়ায়। অন্য কোনও ছাত্রীর সঙ্গে সে এমন অপরাধ করেছে কি না, তাও পুলিস খতিয়ে দেখছে।
এদিকে, ধৃত গৃহশিক্ষককে মঙ্গলবার আলিপুরের দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সোনিয়া মজুমদারের আদালতে তোলা হলে, এই অপরাধের প্রতিবাদে আলিপুর আদালতের আইনজীবীরা তার হয়ে মামলা লড়তে অস্বীকার করেন। পরে লিগ্যাল এইডস থেকে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে আইনজীবী দেওয়া হয়। সরকারী আইনজীবী মাধবী ঘোষ জানিয়েছেন, আদালত তাকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি আদালত এদিন গোপন জবানবন্দির আবেদনও গ্রাহ্য করেছে। ধৃতকে হেফাজতে রেখেই এই মামলার বিচার শুরু করতে চায় কলকাতা পুলিস। তাই পুলিস ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে দ্রুত চার্জশিট পেশ করবে বলে জানা গিয়েছে।