আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
জেএমবি জঙ্গি কওসরের হাত ধরে উন্নত প্রযুক্তিতে বিস্ফোরক তৈরি শেখে হাবিবুর। কওসরই তাকে আইইডি তৈরির প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়। কওসর ধরা পড়ার পর বিস্ফোরক সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় দেখভাল করত হাবিবুর। তার নির্দেশ মতো দক্ষিণ ভারত ও এরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরক তৈরির কারখানা খোলা হয়েছে। যাতে জেএমবির ধুলিয়ান মডিউলের সদস্যরা কাজ করছে। সেখানে এই জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম মাথা সালাউদ্দিনের যাতায়াত রয়েছে। সে নতুন মডিউল তৈরি করেছে এখানে। যারা এই বিস্ফোরক তৈরিতে যুক্ত বলে জেনেছে এনআইএ। ধরা পড়ার পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেঙ্গালুরুতে রেল লাইনের পাশ থেকে আইইডি উদ্ধার করেন অফিসাররা। সেখান থেকে তার ডেরা খুব বেশি দূর ছিল না।
তখনই গোয়েন্দারা বুঝতে পারেন, আরও বিস্ফোরক বেঙ্গালুরুতে লুকিয়ে রাখা রয়েছে। তার মধ্যে আইইডি ছাড়াও অন্য ধরনের বিস্ফোরক রয়েছে। সূত্র মারফত তাঁদের কাছে খবর আসে, সেখানকার বেশ কিছু ঝুপড়ি এলাকায় বসবাসকারী একাধিক যুবক নব্য জেএমবির হয়ে কাজ করছে। সকলেরই প্রশিক্ষণ হয়েছে হাবিবুরের হাতে। সেখানকার বেশ কিছু জায়গায় বিস্ফোরক তৈরির কারখানা ও মজুতভাণ্ডার রয়েছে। এই নিয়ে হাবিবুরকে জেরা করা হয়। প্রথমে সে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে জানায়, বেঙ্গালুরুর সোলাদেবনাহাল্লিতে আইইডি সহ অন্যান্য বিস্ফোরক রাখার মজুতভাণ্ডার করা হয়েছে। এখানে বিস্ফোরক তৈরিও হয়। হাতেকলমে প্রশিক্ষণও চলে। এরপরই সেখানে হানা দিয়ে আইইডি, বিস্ফোরক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
আইইডিগুলি পরীক্ষা করে গোয়েন্দারা দেখেন, স্টিলের লম্বা ক্যানকে আইইডি কন্টেনার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। যা থেকে শক্তিশালী হ্যান্ড গ্রেনেড তৈরি করা হতো। তবে এর নির্মাণ কৌশল খাগড়াগড়ে উদ্ধার হওয়া হ্যান্ড গ্রেনেডের তুলনায় আলাদা। এগুলি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি। এই ধরনের পদ্ধতিতে আইইডি সাধারণত মাওবাদীরা তৈরি করে থাকে। তার সঙ্গে জেএমবি জঙ্গিদের তৈরি করা আইইডির অনেকটাই মিল রয়েছে। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, এই হ্যান্ড গ্রেনেডের সামনে পিন বা আংটা রয়েছে। সেটিকে টানলেই সক্রিয় হবে এই আইইডি। এছাড়া দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যে রকেট লঞ্চার পাওয়া গিয়েছে, তা খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্ত হাতকাটা নাসিরুল্লার ডেরা থেকে পাওয়া গিয়েছিল। দুই ধরনের রকেট তৈরির ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত কিছু পার্থক্য রয়েছে। হাবিবুরের তৈরি করা রকেট অনেক বেশি আধুনিক।