বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
অন্যদিকে, বলাগড়ের জিরাট কলেজে সোমবার সন্ধ্যায় এবিভিপি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে অশান্তি বাধে। এরপর রাতে বিজেপির লোকজন তৃণমূলের দুই যুব নেতা নিলয় মালিক ও সুরজিৎ ঘোষের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদ করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায় বলাগড় থানায় গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও বলাগড়ের বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তাদের নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। বলাগড় থানার পুলিস জানিয়েছে, গোলমালের ঘটনায় চিরঞ্জিৎ মালিক ও কৃষ্ণ মালিক নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনেখালি কলেজে এদিন দ্বিতীয় সেমেস্টারের ভর্তি প্রক্রিয়া চলছিল। দুপুর বারোটা নাগাদ বিজেপির ছাত্র সংগঠনের কিছু কর্মী বহিরাগতদের নিয়ে হাজির হয়। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীদের এবিভিপি করতে হবে বলে শাসানি দেয়। এই ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই বচসাকে কেন্দ্র কেরে দু’পক্ষের মারপিটের ঘটনায় কলেজ রণক্ষেত্রের আকার ধারণ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে অধ্যক্ষ ধনেখালি থানায় ফোন করে পুলিসকে খবর দেন। এরপরেই পুলিস ও র্যাকফ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এবিভিপি নেতা রাজীব ঘরামি বলেন, মাস দুয়েক আমরা ধনেখালি কলেজে ইউনিট গঠন করি। এদিন কলেজ শান্তিপূর্ণ ছিল। তৃণমূলের বহিরাগতরা এসে কলেজে তাণ্ডব শুরু করে দেয়। আমাদের ছেলেদের মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। দশ জনের মতো গুরুতর জখম হয়েছে। পুলিসকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। পুলিস কলেজে এসে উল্টে লাঠিপেটা করে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, এদিন কলেজে দ্বিতীয় সেমেস্টারের ভর্তি চলছিল। ওই সময় বিজেপি ও এবিভিপি বহিরাগতদের নিয়ে এসে কলেজে ছাত্রছাত্রীদের উপরে চড়াও হয়ে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা প্রতিবাদ করতেই হকি স্টিক ও লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারে। মারধরের ঘটনায় কমপক্ষে তিরিশ জন জখম হয়েছে। তার মধ্যে দ্বিতীয় সেমেস্টারের চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত চারজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
অসীমাদেবী আরও বলেন, আমি বিধানসভায় ছিলাম। খবর পেয়েই ধনেখালি গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটে এসেছি। আহতদের ভর্তির জন্য কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছি। পুলিসকে সব জানানো হয়েছে। ধনেখালি থানার পুলিস জানিয়েছে, কলেজে সকালে একটা গোলমাল হলেও বেলার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।