আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের পর হালিশহর পুরসভার অধিকাংশ কাউন্সিলার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার পুরসভার চেয়ারম্যান অংশুমান রায় সহ আটজন কাউন্সিলার বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা তৃণমূলে ফিরে এসে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তাঁদের জোর করে ভয় দেখিয়ে বিজেপি’তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান সহ বাকিরা। পরে বিধানসভার প্রেস কর্নারে ওই কাউন্সিলারদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, হালিশহরের চেয়ারম্যান সহ অনেককেই ভয় দেখিয়ে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যাঁরা বিজেপি’তে গিয়েছিলেন, তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরলেন। ফলে ওই পুরসভায় তৃণমূল আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ হল। পুরবোর্ড তৃণমূলের দখলেই রইল।
চেয়ারম্যান অংশুমান রায় বলেন, মোট ২৩ জন কাউন্সিলারের মধ্যে আগে ২১ জনই তৃণমূলের ছিলেন। তার মধ্যে আমরা ১৭ জন বিজেপি’তে গিয়েছিলাম। যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। বাকি চারজন তৃণমূলেই ছিলেন। এদিন আটজন কাউন্সিলার ফিরে এসেছেন। ফলে এখন তৃণমূলে রয়েছেন ১২ জন কাউন্সিলার। বোর্ড আগে ভাঙেনি বা অনাস্থা আনা হয়নি, ফলে তৃণমূলের অধীনেই পুরবোর্ড রইল।
চেয়ারম্যান সহ ওই কাউন্সিলারদের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বিজেপি সন্ত্রাসের রাস্তা নিয়েছে। তাদের সন্ত্রাসে ভাটপাড়া, নৈহাটি, হালিশহর সন্ত্রস্ত। সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছেন আমাদের দলের কর্মীরা। নিজের সম্মান বাড়ানোর জন্য এটা করছেন অর্জুন সিং। মানুষকে ভয় দেখিয়ে এসব করা হচ্ছে। বিজেপিতে যোগ না দিলে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তারা। আজ ভয় ভেঙে আটজন ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আশা করছি, বাকিরাও ফিরে আসবেন। আতঙ্কেই বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা। গুটখার গন্ধ সহ্য করতে না পেরে কাউন্সিলারদের এই ‘ঘর ওয়াপসি’। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর ভাটপাড়া পুরসভা হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। নৈহাটি, হালিশহর, কাঁচরাপাড়া পুরসভাতেও তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। নৈহাটি পুরসভায় প্রশাসক বসায় পুরদপ্তর। বাকি পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আসেনি।