আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
ঘটনা দুই, সল্টলেক মিলননগরের বাসিন্দা ঐশিক চৌধুরী স্কাইওয়াকের একটি স্টল থেকে পুজোর ডালি কিনতে গিয়ে কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হন। তিনিও মন্দির কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই দুটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, মাঝে মধ্যেই প্রকল্প এলাকায় একাধিক স্টল থেকে এই ধরনের অভিযোগ আসছে। ভক্তদের কাছ থেকে এই ধরনের অভিযোগ পেয়ে স্কাইওয়াকের ব্যবসায়ীদের আচরণে ক্ষুব্ধ মন্দির কর্তৃপক্ষ রীতিমতো। অন্যদিকে, গোটা স্কাইওয়াক প্রকল্প আলোয় ঝলমল করলেও ব্যবসায়ীদের দোকান অন্ধকারে ডুবে থাকে। এখনও তাঁরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাননি।
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, অধিকাংশ ভক্ত এখন স্কাইওয়াক প্রকল্প দিয়ে মন্দিরে যান। ফলে, স্টলগুলি থেকে বিক্রিবাটা ভালোই হচ্ছে। কিন্তু, এভাবে পচা মিষ্টি দেওয়া বা ভক্তদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা কাম্য নয়। আমাদের কাছে একাধিক অভিযোগ এসেছে। ইতিমধ্যেই আমরা ব্যবসায়ীদের এই বিষয়ে সতর্ক করেছি। এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে আমরা কড়া ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব। প্রয়োজনে আদালত পর্যন্ত যাব।
রানি রাসমণি রোডের অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের স্কাইওয়াক প্রকল্পের উপরে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল, বিভিন্ন দোকানের কর্মীরা পুজোর ডালি নেওয়ার জন্য ভক্তদের জোরাজুরি করছেন। তবে, গোটা প্রকল্প এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রয়েছে। কথা হচ্ছিল এক দোকানদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ভক্তরা আমাদের লক্ষ্মী। ব্যবসায়ীরা কেন খারাপ মিষ্টি দিতে যাবে? সেটা কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে। এরপর তিনি নিজের দোকান থেকে মিষ্টি এনে দেখিয়ে বলেন, কোনও পচা আমরা মিষ্টি বিক্রি করি না। প্রতিদিন কয়েকশো ভক্তকে আমরা এভাবে পুজোর ডালি বিক্রি করছি। তবে, এমন অভিযোগ কাম্য নয়। এক মাটির মডেল বিক্রেতা বলেন, এখন এখানে ভালোই ভিড় হয়। ফলে, বিক্রিবাটা হয় না বললে ভুল বলা হবে। তবে, এখানে বহু ব্যবসায়ী দোকান ভাড়া দিয়ে দিয়েছেন। বরং তাঁরা অটো বা টোটো চালাচ্ছেন কিংবা অন্য কোনও ব্যবসা করছেন। আমাদের মতো বহু ব্যবসায়ী দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য টাকা জমা দিয়ে রেখেছি। অথচ আমাদের দোকানে কারেন্ট নেই। এই গরমে দোকান চালতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে। শুনেছি, কিছু ব্যবসায়ী এখনও বিদ্যুৎ দপ্তরে টাকা জমা দেননি বলে আমরা বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছি না। যাঁরা টাকা জমা দিয়েছেন, তাঁদের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হবে কেন? এই বিষয়ে পুর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার। তবে, ভক্তদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা পচা মিষ্টি দিয়ে ডালি বিক্রি করা ঠিক নয়। এই প্রকল্প এলাকায় সব ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে একটা ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হবে। কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, খুঁটিনাটি সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বর্তমানে এর সমাধান সূত্র বেরিয়েছে। আমরা নিয়ম মেনে টাকা জমা দিয়েছি। আশা করি, খুব শীঘ্রই ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যাবেন।