আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
গত ৮ জুন তৃণমূল-বিজেপির গণ্ডগোলের ঘটনায় ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল নামে দু’জন বিজেপি কর্মী এবং কায়ুম মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছিলেন। গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়েছিল। মৃত প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল এবং নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডল একে অপরের জেঠতুত-খুড়তুত ভাই। ভাঙ্গিপাড়া গ্রামেই রাস্তার ধারে পর পর তিনটি বাড়ি। কায়ুমের বাড়ি রাজবাড়ি গ্রামে। দেবদাসবাবু এক ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে সুদীপ্ত তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ে। মেয়ে ঝুমা দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। স্ত্রী সুপ্রিয়াদেবী গৃহবধূ। সুপ্রিয়াদেবীর সামনেই দেবদাসকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল হামলাকারীরা। দেবদাসবাবুর বৃদ্ধ বাবা বাসুদেব মণ্ডল ন্যাজাট থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরিও করেছিলেন। কিন্তু, একমাস পরেও বসিরহাট জেলা পুলিস তাঁর কোনও খোঁজ দিতে পারেনি। পরিবারের সদস্যরা এখন গভীর উদ্বিগ্ন হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
দেবদাসবাবুর পরিবারের সদস্যরা পুলিসের কাছেও অনেকবার দাবি করেছিলেন, জীবিত অথবা মৃত দেবদাসের দেহ ফিরিয়ে দিক পুলিস। কিন্তু, একমাস কেটে গেলেও তাঁর কোনও হদিশই দিতে পারেনি পুলিস। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে দুই বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগে শাসকদলের এক স্থানীয় নেতা সহ চারজন তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তৃণমূলকে খুনের অভিযোগে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এদিকে, নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডলের ব্যাপারে এক পুলিস অফিসার বলেন, আমরা প্রথম দিন থেকেই খোঁজ করছি। কিন্তু, দেবদাস মণ্ডলের কোনও খোঁজ আমরা পাইনি। একমাসেও কোনও তথ্য মেলেনি? উত্তরে তিনি বলেন, না। কিছু জানা যায়নি। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের লোকজন ঘটনার দিনই দেবদাস মণ্ডলকে খুন করে তাঁর দেহ লোপাট করে দিয়েছে। পুলিস জানে তাঁর মৃতদেহ কোথায় রাখা আছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে পুলিস যদি দেবদাসের দেহ খুঁজে বের না করে তাহলে আমরা আন্দোলনে নামব।