আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
মেয়র পদে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই ক্ষোভ ব্যক্ত করছিলেন ডেপুটি মেয়র, মেয়র পরিষদ সদস্য সহ একাধিক কাউন্সিলার। অবশেষে বিদ্যুৎ ভবনে বিক্ষোভ-সমাবেশে সব্যসাচীর ভূমিকায় তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে শীর্ষ নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে আলোচনার জন্য রবিবার তৃণমূল ভবনে বিধাননগরের কাউন্সিলারদের বৈঠক ডেকেছিলেন পুরমন্ত্রী। সেখানে সব্যসাচীকে ডাকা হয়নি। এরপর থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল, তাহলে কি মেয়র পদ থেকে সব্যসাচী দত্তকে সরানো হচ্ছে? সোমবার সকাল থেকেই এ নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করে। ‘মীরজাফর’ থেকে পাল্টা ‘জল্লাদ’— একে অপরকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন ফিরহাদ এবং সব্যসাচী। ডেপুটি মেয়র সহ একাধিক কাউন্সিলার, মেয়র পরিষদ সদস্যরা অনেক তাড়াতাড়ি চলে আসেন পুরসভায়। দফায় দফায় বৈঠক করতে থাকেন নিজেদের মধ্যে। এর মধ্যেই পুরসভায় খবর আসে, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ফোন করে মেয়র সব্যসাচী দত্তকে ‘পদত্যাগ’ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেই অবশ্য সকালে পুরমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দলে থেকে সব্যসাচী দত্ত যা কাজ করছেন, তা ‘মীরজাফরের’ মতো। পুরমন্ত্রী মেয়রকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছেন, এই খবর চাউর হতেই সকলে মনে করেছিলেন, সব্যসাচী দলের নির্দেশ পালন করবেন। কিন্তু, কয়েক মুহূর্ত পরেই তিনি জানিয়ে দেন, তাঁকে কেউ ফোন করেননি। পদত্যাগ করার কথাও তাঁকে বলা হয়নি। অতএব তিনি পদত্যাগ করছেন না। যদিও পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, এদিন সকাল ১১টা ৮ মিনিটে তিনি সব্যসাচী দত্তকে ফোন করেছিলেন, ২৫ সেকেন্ড তাঁদের মধ্যে কথাও হয়।
এরপর সব্যসাচী আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে বলেন, দলের পরামর্শদাতা হিসেবে অনেককেই দেখা যাচ্ছে। তাহলে তাঁকে কেউ পরামর্শ দিলে অসুবিধাটা কোথায়? উল্লেখ্য, রবিবার রাতেই সল্টলেকের একটি জায়গায় ফের একে অপরের সঙ্গে দেখা করেন সব্যসাচী এবং বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সব্যসাচীবাবু নাম না করে দলের নবনিযুক্ত পরামর্শদাতার উদ্দেশে ব্যঙ্গ করে বলেন, কী যেন নাম তাঁর ‘কিশোর কুমার’। তিনি আরও বলেন, এই পরামর্শদাতাকে দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা কোথা থেকে আসছে? দলের কাছে তাহলে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা রয়েছে?
বিকেলে বিধাননগর পুরসভায় এসে মেয়র আরও জানান, তিনি লিখিতভাবে পদত্যাগের নির্দেশ পেলে পরবর্তী সময়ে তার উত্তর দেবেন। তবে লিখিত না পেলে পদত্যাগের প্রশ্ন নেই। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা প্রসঙ্গে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ভোটাভুটিতেই ক্ষমতা দেখা যাবে। তাঁর কথায়, আগে আগে দেখিয়ে হোতা হ্যায় কেয়া। নিজস্ব চিত্র