আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমাকে কাকদ্বীপ ছাড়তে নিষেধ করেছেন তিনি। এখানকার সব খবর আমাকে সময়ে সময়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন। দু’দেশের উপকূল রক্ষী বাহিনী উদ্ধারকার্যে নেমেছে। দেখা যাক, কতটা উদ্ধারকার্য সম্ভব হয়। মন্ত্রী এও বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে উদ্ধারকার্য নিয়ে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, মোট চারটি ট্রলার এমভি দশভুজা, এমভি বাবাজি, এমভি জয় যোগীরাজ, এমভি নয়ন ডুবে গিয়েছে। এমভি দশভুজায় ১৫ জন ছিলেন। ছ’জন উদ্ধার হলেও ন’জন নিখোঁজ। এমভি নয়ন ১৬ জনকে নিয়ে ডুবে গিয়েছে। বাকি দু’টি ট্রলারে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা উদ্ধার হয়েছেন।
বাংলাদেশে উদ্ধার হওয়া ১১৪টি ট্রলারকে সেদেশ থেকে আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত দিয়ে ভারতের হেড়োভাঙা নদীতে নিয়ে আসা হয় সোমবার দুপুরের মধ্যে সেগুলি নিরাপদে কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও ৩২টি ট্রলার আন্তর্জাতিক জলসীমান্ত থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে বাংলাদেশের পায়রা পোর্টে উদ্ধার করে রাখা রয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রীর কথায়, আমি বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। ৩২টি ট্রলারকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। যদিও নিখোঁজ হওয়া মৎস্যজীবীদের পরিজনদের উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এদিন তাঁরা বলেন, আমাদের মানুষগুলিকে খুঁজে পাব কি না, জানি না। প্রবল জলোছ্বাসে ট্রলার ডুবে যাওয়ায় কোনও খোঁজ নেই তাঁদের। প্রশাসনের কাছে বলেছি, তারা যেন আরও বেশি করে সক্রিয় হয়ে আমাদের মানুষগুলিকে ঘরে ফিরিয়ে আনে।
গত দশদিন ধরে সমুদ্রে মাছ ধরতে নিষেধ করা হচ্ছে। তার মধ্যে রথযাত্রার দিন কাকদ্বীপ ও পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি থেকে শতাধিক ট্রলার মাছ ধরতে বেরিয়ে যায়। তিনদিন আগে আচমকা পশ্চিমা বাতাসের কবলে পড়ে যায় ট্রলারগুলি। জলের ঢেউয়ে চলে যায় বাংলাদেশের দিকে। সেখানেই চারটি ট্রলার ডুবে যায়। উপকূল রক্ষী বাহিনীর এক শীর্ষকর্তা বলেন, বিষয়টি জানার পরই মঙ্গলায় বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং নৌবাহিনীর দু’টি জাহাজ পালা করে তল্লাশি চালাতে থাকে। জোরদার তল্লাশিপর্ব চলাকালীন মঙ্গলা বন্দর থেকে দূরে ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে পাথরপ্রতিমা থেকে যাওয়া বিকল হয়ে যাওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ওই ট্রলারটিকে পাওয়া যায়। ওই ট্রলারটিকে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর জাহাজের সঙ্গে বেঁধে আনার পথেই কিছু দূরে আন্তর্জাতিক জলসীমা পেরিয়ে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল ভিতরে আরও ১০০টি ভারতীয় ট্রলারকে দেখা যায়। ওই ট্রলারগুলিও ঝড়ের প্রকোপে ভেসে গিয়ে পুসুর নদীর মোহনায় আশ্রয় নিয়েছিল।