আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
এদিকে, ধৃতদের আইনজীবী মহম্মদ হাসমাত আলম এদিন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আদালত সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেই আমাদের মক্কেলদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। রাতারাতি এমন কী হল, পুলিস খুনের চেষ্টার মতো তথ্য খুঁজে পেল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। আমাদের ধারণা, আসলে জুনিয়র ডাক্তারদের চাপেই সরকারপক্ষ এই কড়া ধারা দায়ের করার জন্য কোর্টের কাছে আবেদন জানাল পুলিস। আমরা কোর্টের কাছে ওই কড়া ধারার বিরুদ্ধে শুনানির জন্য আবেদন জানাব। এদিকে, এই ইস্যুতে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে হাজির থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম নেতা অনসূয়ক রায় এদিন সন্ধ্যায় বলেন, সরকারপক্ষের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ সদর্থক। এদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা এদিন দাবি তুলেছেন, ঘটনার দিন শুধুমাত্র পাঁচজন ওই তাণ্ডবে হাজির ছিল না। আরও বেশি সংখ্যক লোকজন সেখানে ছিল। আমাদের দাবি, পুলিস সেই সকল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করুক। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, ঘটনার পর পুলিস দীর্ঘ সময় পাওয়ার পরেও পাঁচজনের বেশি আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এখন দেখা যাক, সরকারি চাপে পুলিস এই মামলায় ফের কতটা সক্রিয় হয়।
এদিকে, এদিন পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ধারা লাগুর পরই ধৃতদের আইনজীবীরা বলেন, চিকিৎসার অবহেলায় রোগীর মৃত্যু এবং মৃতদেহ আটকে রাখা নিয়ে যে মামলা দায়ের হয়েছিল চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে, তাতে পুলিস কেন এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার করল না? কেন ওই মামলাটির বিষয়ে পুলিস আগ্রহ দেখাচ্ছে না? তাহলে কি ধরে নিতে হবে পুলিস আদৌও মামলাটির তদন্ত করবে না? শেষ পর্যন্ত কোর্টে মামুলি রিপোর্ট পেশ করে দায়িত্ব সারবে? উত্তরে মুখ্য সরকারি আইনজীবী বলেন, আমি শুনেছি, এই বিষয়টি নিয়ে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। তাই এ নিয়ে আমি বিশেষ কিছু বলতে পারব না।