আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে যে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, তাতে এলাকার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, মেট্রোপলিটন হাউজিং এবং দক্ষিণী হাউজিং সোসাইটির পাশে বাইপাশ সংলগ্ন একটি নামকরা রেস্তরাঁর পাশ দিয়ে বহু বছর ধরেই একটি নয়ানজুলি ছিল (দাগ নং ৮৭, জে এল নং ২, মৌজা –ধাপা)। ওই এলাকার বর্ষা ও নিকাশির জল এটা দিয়েই প্রবাহিত হতো। ওই ময়লা জল ব্যবহার করে আবার এলাকার কিছু যুবক মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করত। জীবন সাহার নেতৃত্বে বা তাঁর নির্দেশে ওই যুবকদের সরিয়ে দিয়ে খাল ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ফলে চলতি বর্ষায় জল নিষ্কাষনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে হাউজিং সোসাইটিগুলি। এর আগে একটি সরকারি খালের একাংশ ভরাট করে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগের কথাও পুলিস কমিশনার, মেয়রকে দেওয়া চিঠিতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাসিন্দারা। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন তাঁরা।
প্রচুর গাছপালার জন্য মেট্রোপলিটন বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে নতুন ভরাট করা জায়গাটি সহজে দেখা যাবে না। উল্টোদিক দিয়ে ঘুরে গিয়ে দেখা গেল, ভরাট হওয়া জায়গায় যাওয়া কষ্টকর। কারণ, রাস্তা ও ওই ভরাট করা জমির মাঝখানে তুলে দেওয়া হয়েছে একটি ইটের পাঁচিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেল, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে মাটি ফেলা হয়েছে নয়ানজুলিতে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এই ওয়ার্ডে একের পর এক জলাশয় আকারে ছোট হচ্ছে অথবা চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। এর আগে একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজের কাজ হয়নি। এখন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মেয়র এ বিষয়ে তাঁদের কড়া অবস্থান ঘোষণা করায়, অবশিষ্ট জলাশয়কে বাঁচানোর ক্ষেত্রে আমরা একটু হলেও সাহস পাচ্ছি। ইতিমধ্যেই এই ওয়ার্ডে নানা অব্যবস্থা, জলাশয় ভরাট, সরকারি জমি বেচে দেওয়া ইত্যাদি অভিযোগে পুরসভায় গিয়ে মেয়রকে ডেপুটেশন দিয়ে এসেছে একটি মানবাধিকার সংগঠন। কয়েকদিন আগে এলাকায় এসব নিয়ে তুমুল সংঘর্ষও হয়েছে বিজেপি ও তৃণমূল অনুগামীদের মধ্যে। সোমবার এলাকায় কাউন্সিলারের এই সব কাজের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। তবে এই নয়ানজুলি ভরাটের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন জীবনবাবু। তাঁর সাফ কথা, এগুলো আমাদের কাজ নয়। আমাদের কাজ সবটাই বৈধ। ব্যবসা করে খাই। এই জায়গায় আদৌ কোনও নয়ানজুলি ছিল কি না, তা নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পুরো জায়গা জুড়ে আগে ভেড়ি ছিল। কিছুটা জায়গা নিয়ে মেট্রোপলিটন হয়েছে, বাকি অংশ কেএমডিএ’র হাতে রয়েছে। আর ওখানে তো ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে। এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন তিনি।