বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী বিধায়কদের সিংহভাগই এদিন কাটমানি প্রসঙ্গ নিয়েই বেশি সময় ব্যয় করেছেন। তবে আলোচনার প্রথম বক্তা মনোজ চক্রবর্তী কাটমানি প্রসঙ্গ ব্যতীত গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে না দেওয়া, পুলিসি রাজ কায়েম করার মতো অভিযোগ তুলে বর্তমান রাজ্য সরকারের আরও কোনও প্রয়োজন নেই বলে দাবি করেন। ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে এই সময় রাজ্যে বাম, কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে জোট হয়েছে বলে নানা টিকাটিপ্পনী শোনা যায়। শাসকদলের পক্ষে জ্যোতির্ময় কর, সুদর্শন ঘোষদস্তিদার, প্রবীর ঘোষালের মতো আরও কয়েকজন রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা এবং গোলমাল পাকানোর অভিযোগ আনেন বিজেপির বিরুদ্ধে। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীরবাবু তাঁর বক্তৃতায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে জননেতা বলে উল্লেখও করেন। মালদহের বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার কাটমানি প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের শৌচাগার নির্মাণের উদাহরণ দেন। তাঁর অভিযোগ, ওই ব্লকে ৩৮ লক্ষ টাকা খরচ করে ৪৮৬টি শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ বাস্তবে সেখানে একটিও হয়নি। বরাদ্দ টাকার পুরোটাই কাটমানি বলে তাঁর দাবি।
বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধ্বে ট্রেজারি বেঞ্চের সদস্যদের উপস্থিতি ছিল কার্যত নগণ্য। এমনকী মন্ত্রীদেরও উপস্থিতি ছিল কম। অধিবেশন চলাকালীন অধ্যক্ষের নজরে বিষয়টি আনেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। এরপর ডেকে নিয়ে আসা হয় কয়েকজন মন্ত্রীকে। বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন অধ্যক্ষ। অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধের শেষ বক্তা ছিলেন তৃণমূলের গৌরীশঙ্কর দত্ত। অধ্যক্ষ যখন তাঁর নাম ডাকেন, দেখা যায় তিনিও নেই কক্ষে।