কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এ বছর পরীক্ষায় বসেছিলেন মোট ৪১ হাজার ৫৯৪ জন ছাত্রছাত্রী। বিএ-তে ৭১৬ জন, বিএসসিতে ২ হাজার ৬৯৯ জন এবং বিকমে ১ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রছাত্রী ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন। সব মিলিয়ে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫৯। গতবার তা ছিল ৪ হাজার ৩৯৭। তবে ছাত্রীদের সাফল্যের হার এবার ছাত্রদের তুলনায় ঈর্ষণীয়ভাবে বেশি। বিএতে পরীক্ষায় বসেছিলেন ১১ হাজার ৯২২ জন ছাত্রী। ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন ৫৯২ জন। সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৫৭ জন। অনার্স সহ পাশের হার ৭৬.৭৭ শতাংশ। মেয়েদের সার্বিক পাশের হার ৯৮.০৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্র ছিলেন ৩ হাজার ১৯২ জন। ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন মাত্র ১২৪ জন। সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন ২ হাজার ১৬৬ জন। অনার্স সহ পাশের হার ৭১.৭৪ শতাংশ। সার্বিক পাশের হার ৯৭.২৪ শতাংশ। ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে বিএ অনার্স তৃতীয় বর্ষে মোট পাশের হার ৯৭.৮৮ শতাংশ।
বিএসসিতে ছিলেন ৫ হাজার ৩০৭ জন ছাত্রী। ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন ১ হাজার ৭৪০ জন। সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন ২ হাজার ৭৯৬ জন। অনার্স সহ পাশের হার ৮৫.৫৪ শতাংশ। সব মিলিয়ে পাশের হার ৯৬.৫৭ শতাংশ। বিএসসি অনার্সে ছাত্র ছিলেন ৩ হাজার ৩৮২ জন। ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন ৯৫৯ জন। সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন ১ হাজার ৬১৩ জন। অনার্স সহ পাশের হার ৭৬.০৭ শতাংশ। সেটা ছাত্রীদের থেকে ৯.৪৭ শতাংশ কম। ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে বিএসসি অনার্সে পাশের হার ৯৪.৯৩ শতাংশ।
বিকমে ছাত্রী ছিলেন ৬ হাজার ৯১৯ জন। ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন ৯৫৪ জন। সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৬ জন। অনার্স সহ পাশের হার ৭০.৬৮ শতাংশ। সার্বিকভাবে পাশের হার ১০০ শতাংশ। ছাত্র ছিলেন মোট ১০ হাজার ৮৭২ জন। সেখানে ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছেন মাত্র ৯৯০ জন। সেকেন্ড ক্লাস পেয়েছেন ৪ হাজার ৪০৯ জন। অনার্স সহ পাশের হার ৬৩.২৪ শতাংশ। সার্বিক পাশের হার ৯৯.৯৮ শতাংশ। ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে বিকম অনার্সে মোট পাশের হার ৯৯.৯৯ শতাংশ।
সাধারণভাবে মনে করা হয়, কলাবিভাগে ছাত্রীরা এগিয়ে থাকলেও বিজ্ঞান এবং বাণিজ্য শাখায় ছাত্রীদের সাফল্যের হার ছাত্রদের থেকে কম হয়। কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের রেজাল্ট সব ধারণা ভেঙে দিয়েছে। তিনটি বিভাগেই ছাত্রদের পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছেন ছাত্রীরা। তাহলে কি ছাত্ররা সার্বিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে? বিষয়টি এভাবে দেখতে নারাজ সহ-উপাচার্য। তাঁর মতে, এবারের ছাত্ররা হয়তো ছাত্রীদের থেকে কিছুটা দুর্বল ছিল। তাছাড়া, জেনারেল কোর্সে ছাত্রদের আগ্রহ হয়তো কমছে। তারা ইঞ্জিনিয়ারিং বা ওই জাতীয় পেশাদার কোর্সের দিকে ঝুঁকছে। সেটাও একটা কারণ বলে তিনি মনে করেন। কিন্তু ছাত্রীদের এই সাফল্যের হার বেশ আশাব্যাঞ্জক বলেও তাঁর দাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই মনে করেন, ছাত্রীরা এই হার ধরে রাখবেন। বরং আরও এগিয়ে যাবেন। এবার প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ৫ মার্চ। বিএ-বিএসসিতে ২ এপ্রিল এবং বিকমে ৩ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। শেষ হয়েছিল ২৫ এপ্রিল। ঠিক দু’মাস পর ফলপ্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয়। এবার আরএ এবং অসম্পূর্ণ ফলাফলের ঘটনা একেবারেই নগন্য। গতবার তা অনেকটাই বেশি ছিল। সহ-উপাচার্যের দাবি, বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়াতেই সেগুলি কমানো গিয়েছে।