পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত ১৩ জুন রাতে বাড়ির উঠোনের পাশে কলতলা থেকে সরস্বতী দাসের রক্তাক্ত মৃতদেহ হয়। রাতেই বিজেপি নেতৃত্ব হাসপাতালে গিয়েছিলেন। দলীয় কর্মী খুন হয়েছে বলেই ওইদিন রাতেই তাঁরা সংবাদমাধ্যমকেও জানান। এদিকে পরদিন শুক্রবার সকাল থেকে থেকেই মৃত সরস্বতীদেবীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছিল জলঘোলা। তৃণমূল নেতৃত্ব গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের একটি বিজয় মিছিলে থাকা তাঁর ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছিলেন, তিনি তৃণমূলেরই কর্মী ছিলেন। তবে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করে, সম্প্রতি বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন সরস্বতীদেবী। সন্দেশখালির ন্যাজাটের ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে দু’জন বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের সময় গত ৯ তারিখ বসিরহাট জেলা হাসপাতালে এসেছিলেন তিনি। সাংসদ অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে সরস্বতীদেবীর ছবি প্রকাশ করে বিজেপি। গত ১৫ জুন ভারতী ঘোষ সহ বিজেপি নেতৃত্ব সরস্বতীদেবীর বাড়িতেও যান।
সরস্বতীদেবীর স্বামী শুভঙ্করবাবুও অবশ্য খুনের পর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস করেন। কিন্তু বসিরহাট জেলা হাসপাতালে মর্গে মায়ের মৃতদেহ নিতে গিয়ে সরস্বতীদেবীর ছেলে সুমন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার মা বিজেপি করতেন। সরস্বতীদেবীর স্বামী হাসনাবাদ থানায় একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলন। তার ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিস। তদন্তে নেমেই পুলিস সুমনকে গ্রেপ্তার করে। এক পুলিস অফিসার বলেন, সুমনের বয়স মাত্র ১৯ বছর। সে জেরায় জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তি থেকেই সে মাকে একা পেয়ে খুন করে। খুনের পর সে পালিয়ে যায়। তবে সঠিক কী কারণেুন, তা সে খুলে বলেনি। ধৃতকে রবিবার বসিরহাট জেলা আদালতে তোলা হয়েছিল। তাকে জেরা করার জন্য পুলিস হেফাজতের আবেদন করা হয়েছিল। আদালত পাঁচদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছে। কী অশান্তি থেকে সে এতবড় সিদ্ধান্ত নিল তা জানার চেষ্টা চলছে।