বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কৃত্তিকা পালের মৃত্যুরহস্যের তদন্তে নেমে অফিসাররা নিশ্চিত, এর পিছনে প্রণয়ঘটিত কোনও বিষয় জড়িত নয়। তাঁদের মতে, পড়াশুনার ক্ষেত্রে ভালো জায়গায় পৌঁছতে না পারলে কী হবে, এই আশঙ্কাই তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। বিশেষত রাশিবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে না পারলে সব শেষ হয়ে যাবে, এই ধারণা তার মনে তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যা থেকেই সে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বইয়ের বাইরে ওই ছাত্রীর আর অন্য কোনও জগৎ ছিল না। এমনকী এই বয়সে আর পাঁচটা ছেলেমেয়ের মতো তার সিনেমা দেখা বা অন্য কোনও নেশা ছিল না।
সুইসাইড নোটে এক একটি লাইনে এক একরকম লেখা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়। এই নিয়ে তদন্তকারী অফিসারদের বক্তব্য, তার যখন যা খেয়ালে এসেছে, সেটাই লিখে গিয়েছে। পুরোপুরি ম্যাচিওরড হয়নি ওই ছাত্রী। অনেক শব্দের অর্থই হয়তো তার জানা নেই। সবকিছু সে জুনেবুঝে লিখেছে এমনটাও নয়। তাই তার মধ্যে অন্য কিছু খোঁজা অর্থহীন। গোয়েন্দারা মনে করছেন, তিনপাতার সুইসাইড নোটের মধ্যে দু’টি পাতা সে কিছুদিন আগেই লিখেছিল। তা তার লেখার মধ্যে স্পষ্ট হয়েছে। আর তা যে কৃত্তিকার হাতের লেখা, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। সুইসাইড নোটের সঙ্গে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া খাতার লেখা নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়। দু’টি লেখার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
তবে এতবড় ঘটনা স্কুলে ঘটে গেলেও যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন তাঁরা এত দেরি করে জানলেন কেন, তা ভাবাচ্ছে অফিসারদের। তাঁদের বক্তব্য, দু’টি পিরিয়ড হয়ে যাওয়ার পরেও সে কেন ফিরছে না, তা আগেই নজরে আসা উচিত ছিল কর্তৃপক্ষের। স্কুলের করিডর দেখার দায়িত্ব কারও ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুলের সিসিটিভি মনিটর করার জন্য কাউকে নিয়োগ করা হয়েছিল কি না তাও তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে। অফিসারদের কথায়, কৃত্তিকা বাথরুমে গিয়ে আত্মহত্যা করার আগে লনের মধ্যে টেনশনগ্রস্ত অবস্থায় ঘোরাঘুরি করেছিল কি না, তা জানা প্রয়োজন। যা স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই জানা সম্ভব। আবাসিক রুমে কোনও ছাত্রী যেতে চাইলে কী নিয়ম রয়েছে, তা স্কুলের কাছে জানতে চাওয়া হবে। পাশাপাশি ওই ছাত্রীকে স্কুলের কোনও শিক্ষিক-শিক্ষিকা সাম্প্রতিককালে বকাঝকা করেছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে।