পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই কাউন্সিলার মধুছন্দা দেব উল্লেখ করেন, বিভিন্ন এলাকায় ঠান্ডা মেশিন বসাচ্ছে গণসংগঠনগুলি। কিন্তু সেগুলি মেরামত হচ্ছে না। পুরসভা কি আদৌ অনুমতি দিচ্ছে? উত্তরে মেয়র বলেন, এবিষয়টি আমারও নজরে রয়েছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছি, ওই সংগঠনগুলিকে নিজস্ব খরচে অন্তত পাঁচ বছর মেশিনগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হবে। ফিল্টারগুলিও বদল করবে তারা। এইসব প্রতিশ্রুতি লিখিত দিলে তবেই কাউন্সিলারদের সঙ্গে মউ স্বাক্ষরিত হবে। সেই অনুযায়ী, ঠান্ডা জলের মেশিন বসানোর অনুমতি মিলবে। এক্ষেত্রে কাউন্সিলারদের নিজ নিজ এলাকার এই ধরনের যাবতীয় মেশিন সম্পর্কে তথ্য দিতে বলেন মেয়র। মেয়রের এই বক্তব্যে কাউন্সিলাররাও সহমত পোষণ করেছেন।
দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ তথা ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মালা রায়ের কথায়, মেয়র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। মেশিন বসানোর আগে আমাদের কাছে একাধিকবার আসে সংগঠনগুলি। তারপর বসানোর পর যদি আচমকাই খারাপ হয়ে যায়, তখন তাদের খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। আবার ফিল্টার খারাপ হয়ে গেলেও মেশিনের জল সরবরাহ তো বন্ধ হয়ে যায় না। বাধ্য হয়েই নাগরিকদের সেই জল খেতে হয়। সেটা উচিত নয়। তাই এদেরকে নিয়মে বাঁধলেই সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হওয়া সম্ভব। তাঁর ওয়ার্ডের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হচ্ছে কেওড়াতলা মহাশ্মশান। সেটির প্রবেশদ্বারের পাশেই একটি ঠান্ডা জলের মেশিন বসানো। যেটি মাঝেমধ্যেই বিগড়ে যায়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। মেয়র পরে ফোনে বলেন, আমাদের কাছে কোনও নির্দিষ্ট তালিকা নেই এই মেশিনগুলি সম্পর্কে। আমাদের ভূগর্ভস্থ পাইপলাইন থেকে জল ওই মেশিনগুলির মাধ্যমে পান নাগরিকরা। ফিল্টার খারাপ থাকলে পরবর্তীকালে ওই জল থেকে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, তখন পুরসভার উপরই দায় বর্তাবে। সেকারণেই এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাঁচ বছর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিতেই হবে। ফিল্টারের অবস্থাও সময়ে সময়ে এসে খতিয়ে দেখতে হবে। শর্ত মানলেই মিলবে মেশিন বসানোর অনুমতি।
জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের মেশিন বসানোর ক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলাররাই যাবতীয় পদক্ষেপ করে থাকেন। তাঁদের বিভাগের কাছ থেকে শুধু জল সরবরাহের অনুমতি চায় গণসংগঠন বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি। তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এতদিন কোনও নিয়ম ছিল না। অন্যদিকে, কাউন্সিলারদের বক্তব্য, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি হিসেবে বিভিন্ন সংস্থাকে তাঁদের এলাকায় ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন বসাতে বলেন তাঁরাই। শুধু জল সরবরাহের অনুমতি তাঁরা দেন। কিন্তু এটা ঠিক, পরবর্তীকালে মেশিন খারাপ হলে তাঁদেরই দেখতে হয়।