পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাত কাটা মুন্না চুঁচুড়ার পিয়াড়াবাগান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই অসামাজিক কাজে যুক্ত ছিল। ২০১১ সালের আগে সে ওই এলাকার আর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী মানিক সর্দারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। এক সময় সে সিপিএমের হয়ে কাজ করত। প্রয়াত সংসদ সদস্য অনিল বসুর ঘনিষ্ঠ বলে সে নিজেকে পরিচয় দিত। যদিও অনিলবাবু তখন তাদের সঙ্গে পরিচয় থাকার কথা অস্বীকার করেছিলেন। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের পর মুন্না ও মানিক সর্দার এলাকা ছাড়া হয়ে যায়। এবারের লোকসভা ভোটের পর তারা এলাকায় ঢোকে বলে তৃণমূলের অভিযোগ। শুক্রবারই মানিকের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই আজাদ হিন্দ ক্লাবে এসে ক্লাবের দখলদারি নেওয়ার কথা বলে। তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। এরপরই শনিবার গভীর রাতে ওই দুষ্কৃতীরা ক্লাবে হানা দেয়। তারা ক্লাবে ঢুকেই প্রথমে চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। তারপরই গুলি চালাতে শুরু করে। তখনই ওই গুলির মধ্যে পড়েই হাত কাটা মুন্নার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এই ঘটনার পরই স্থানীয় লোকজন চুঁচুড়া থানায় বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের অভিযোগ, গত আট বছর এই এলাকায় কোনও অশান্তি ছিল না। কিন্তু নতুন করে এখানে দুষ্কৃতীদের আনা হয়েছে ও অশান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া হলে ফের থানা ঘেরাও করা হবে। এদিকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত পুলিস অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় এদিন মহিলারা থানায় বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীরা আগে সিপিএমের ছত্রছায়ায় ছিল। এখন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হওয়ার পর তারা জার্সি বদল করে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। এর পিছনে বিজেপি নেতৃত্বের হাত আছে। যদিও হুগলির এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এলাকায় তৃণমূল দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। আর কোনও দুষ্কৃতীকে আমরা আশ্রয় দিইনি। তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই অশান্তি সৃষ্টি করছে। আমরা পুলিসকে বলেছি, অবিলম্বে এই অশান্তির শেষ হওয়ার প্রয়োজন আছে। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, আমি গোটা ঘটনাটি জানি না। একজন দুষ্কৃতী নিজেদের মধ্যে গোলমালে খুন হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিসের কাছে অনুরোধ করেছি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনা হোক।