গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মঙ্গলবার বিকালে দিল্লিতে গিয়ে বনগাঁ পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার এবং বনগাঁ উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূলের লোকজনকে দলে নেওয়ায় মঙ্গলবারই দলের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। এদিন বিকালে গোপালনগরের রামচন্দ্রপুর কালীবাড়ি এলাকায় মূলত বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধেই পথে নামেন বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা প্রথমে ধিক্কার মিছিল করেন। সবার হাতেই ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল, ‘সন্ত্রাস দালাল বিশ্বজিৎ দাস দূর হটো’। বিজেপি কর্মীরা ‘বিশ্বজিৎ দাসকে আমরা মানছি না, মানব না’ স্লোগানও দেন। তারপর কুশপুতুল দাহ করেন। সেই সময় ‘হরি বল, বল হরি’ স্লোগান দেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এই গোপালনগরেই বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি। তাঁর নিজের এলাকাতেই বিজেপি কর্মীরা পথে নেমেছেন।
বিক্ষোভে শামিল বিজেপি কর্মীরা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূলের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নেতৃত্বেই ছাপ্পা হয়েছিল। মানুষ তাঁর প্রতিবাদেই লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। সেই বিশ্বজিৎ দাস বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় গোপালনগরের বিজেপি কর্মীরা এবং সাধারণ মানুষও তাঁকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই আমাদের এই ধিক্কার মিছিল।
অন্যদিকে, এদিন বিকালে বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায় বিজেপি সমর্থক বনগাঁ-চাকদহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল কাউন্সিলাররা বিজেপিতে যাওয়ায় তাঁদের রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের ওই কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধেই আমরা লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলাম। এখন সেই কাউন্সিলারাই বিজেপিতে চলে গেল। তাই আমরা প্রতিবাদে নেমেছি। ওদের বিজেপি নেওয়া চলবে না।
এদিকে, এদিন দুপুরে বারাসতের রবীন্দ্রভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি দলীয় সভায় কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর থেকে একদল বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন।