বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অভিনেত্রীর অভিযোগ, তিনি ওই যুবকদের বাধা দেওয়ার পাশাপাশি মোবাইল ফোনে পুরো ঘটনাটি রেকর্ড করতে গেলে, তাঁকেও নিগ্রহ করা হয়। এরপর তিনি সামনে থাকা ময়দান থানায় সাহায্যের আর্জি জানিয়ে ছুটে যান। প্রথমে ঘটনাটি তাদের এলাকায় হয়নি বলে দায় এড়াতে চান ময়দান থানার এক পুলিসকর্মী। পরে অবশ্য ওই পুলিসকর্মী ঘটনাস্থলে যান। ততক্ষণে বাইক আরোহীদের অধিকাংশ পালিয়ে যায়। তবে একজনকে ওই পুলিসকর্মী ধরে ফেললেও, সে গেঞ্জি খুলে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।
বিষয়টি তখনকার মতো মিটে যাওয়ায় মাঝরাতে ওই অভিনেত্রী আর পুলিসে অভিযোগ জানাতে চাননি। কিন্তু প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে বাড়ির কাছে যেতেই তিনি দেখেন, তাঁর পথ আটকে দাঁড়িয়ে আছে বাইক আরোহী যুবকরা। এবার ওই অভিনেত্রীর হাতে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বাধ্য হয়ে ওই অভিনেত্রী সাহায্যের আর্জি জানিয়ে চিৎকার শুরু করেন। ততক্ষণে এলাকার বাসিন্দারা ছুটে আসায় রণে ভঙ্গ দেয় বাইক আরোহী দলটি।
রাতেই ওই অভিনেত্রী স্থানীয় চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে, তাঁকে ভবানীপুর থানায় যেতে বলা হয়। পরে অবশ্য চারু মার্কেট থানা ওই অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। স্বাভাবিকভাবে অভিযোগ উঠছে, রাতের কলকাতা শহরে একজন মহিলা আক্রান্ত হলে, তাঁকে সাহায্য করতে পুলিসের এই গড়িমসি কেন? যদিও এ নিয়ে কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, মহিলা কী অভিযোগ করেছেন জানি না। রাতেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মোট সাতজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
ওই অভিনেত্রী কলকাতা পুলিসের এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’ ও অভিযোগ নিতে টালবাহানার প্রশ্নে ক্ষোভ জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তারপরই সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিস। এরপরই কলকাতা পুলিসের এডিসিপি অপরাজিতা রাই নিজে মহিলাকে সকালে ফোন করেন। ২০১০ সালে দেশের একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী ওই অভিনেত্রী ঘটনার পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। তাঁর প্রশ্ন, এ কোন কলকাতা?