বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ বনগাঁ পুরসভার ১২ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগদান করলেও পুরসভার বোর্ড নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া শাসকদল। অন্যদিকে, যে ১৪ জন তৃণমূল কাউন্সিলার বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন, তাঁর মধ্যে ১২ জন বিজেপিতে গেলেও ভাইস চেয়ারম্যান সহ দু’জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যাননি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করে বলেন, ওই ১২ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ছ’জন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দিল্লিতে বেড়ানোর নাম করে নিয়ে গিয়ে তাঁদের বিজেপি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জোর করে উত্তরীয় পরানো হয়েছে। বনগাঁ ফিরে তাঁরা নিজেদের ভূমিকা দেখাবেন।
যদিও বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, তৃণমূল তো অনেক কিছুই দাবি করে। তাই ছ’জন ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলেও প্রচার করছে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ তৃণমূল থেকে নিষ্কৃতি চাইছেন। নতুন ভারত গড়তে তাঁরা আমাদের দলে আসছেন।
সদ্য সমাপ্ত বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। একমাত্র স্বরূপনগর বিধানসভা বাদে বাকি ছ’টি বিধানসভাতেই তৃণমূল হেরেছে। দলত্যাগী বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের বনগাঁ উত্তর বিধানসভায় তৃণমূল ২৮ হাজার ৩৭০টি ভোটে হেরেছে। বনগাঁ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টি ওয়ার্ডেই তৃণমূল হেরেছে। এদিন বিধায়ক সহ ১২ জন কাউন্সিলার বিজেপিতে যোগদান করার পর বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য বলেন, আজ পরিষ্কার হল বনগাঁয় কেন তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে। দল যাঁদের টিকিট দিয়ে সম্মান দিয়েছিল, তাঁরা আজ নীতি ও আদর্শের কথা ভুলে বিজেপিতে গেল। আজ বনগাঁর মানুষও বুঝতে পারছেন, যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের আবেদন করেছিলেন, তাঁদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল।
অন্যদিকে, দলত্যাগী বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, খুব তাড়াতাড়ি দলের টিকিট পেয়ে গিয়েছিল। সস্তায় বিধায়ক হয়ে গিয়েছিল। ওর অন্তত আরও ২০ বছর পর তৃণমূলের টিকিট পাওয়া উচিত ছিল।