পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, তপসিয়া থানার ডঃ নুরউল্লা লেনের বাসিন্দা এক প্রোমোটারের সঙ্গে কিছুদিন আগে আলাপ হয়েছিল অভিযুক্ত জয়দেবের। ওই প্রোমোটারকে তিনি জানান, তিনি কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন উচ্চপদস্থ অফিসার। এর সঙ্গে তিনি ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোরও বড় অফিসার। এই মর্মে বিশ্বাসযোগ্যতা আনার জন্য তিনি ওই প্রোমোটারকে কলকাতা পুলিসের দু’টি পরিচয়পত্রও দেখান। দু’জনের মধ্যে বন্ধুত্ব কিছুটা গাঢ় হওয়ার পরই অভিযুক্ত যুবক প্রোমোরটারকে জানান, তাঁদের একটি পুরনো বাড়ি আছে, সেটি প্রোমোটিং করার ইচ্ছা রয়েছে। সম্প্রতি একটি এই মর্মে দু’জনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে একটি চুক্তিও হয়। সেই চুক্তি অনুসারে ওই প্রোমোটার আড়াই লক্ষ দেন ওই যুবককে। বাকি আরও আড়াই লক্ষ টাকা কয়েকদিন বাদে দেওয়ার দিনও ধার্য হয়।
এদিকে, ওই প্রোমোটার খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, যে বাড়িটির প্রোমোটিং হওয়ার কথা হয়, সেটি ওই যুবকের নামেই নয়। শুধু তাই নয়, ওই যুবক কোনও পুলিস অফিসারও নন। তিনি পুলিসে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো নামে কলকাতা পুলিসের কোনও বিভাগও নেই। সরকারি আইনজীবী জানান, ওই প্রোমোটার প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে পুলিসে অভিযোগ জানান। প্রাথমিক তদন্তের পরই সোমবার রাতে জয়দেবকে হাতেনাতে পাকড়াও করে তপসিয়া থানার পুলিস। তাঁর হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় দু’টি ভুয়ো পরিচয়পত্র। পুলিসি জেরায় তিনি জানান, তাঁর বাড়িতে এই ধরনের আরও দু’টি নকল পুলিসের পরিচয়পত্র আছে। এই ধরনের কাজের সঙ্গে তিনি এর আগেও যুক্ত ছিলেন।
এদিন অভিযুক্তকে শিয়ালদহ কোর্টে হাজির করা হলে সরকারি আইনজীবী বলেন, প্রোমোটারকে যে বাড়িটির প্রোমোটিং করার কথা বলেছিলেন ওই যুবক, তপসিয়ার রামমোহন লেনের সেই বাড়িটি হল ধৃতের ঠাকুরদার সম্পত্তি। সরকারি আইনজীবী জামিনের আপত্তি জানিয়ে বলেন, ধৃতকে এই সময় কোনও মতেই জামিন দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ ধৃতের বাড়িতে আরও দু’টি যে নকল পরিচয়পত্র আছে, তা উদ্ধার করা দরকার। তাই তাঁর জামিন বাতিল করা হোক। অন্যদিকে, ধৃতের তরফে যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন জানানো হয়। বিচারক সেই আবেদন বাতিল করে দেন।