কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে ধর্মীয় পীঠস্থানগুলিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে নানা ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট, তারকেশ্বরের মতো পীঠস্থানে দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তার কথা ভেবেই পুলিস ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কালীঘাট মন্দির লাগোয়া থানা অনেক আগে থেকেই ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে তারাপীঠ পুলিস ফাঁড়ি থানায় উন্নীত করা হয়েছে। এবার দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে পুলিস ফাঁড়িকে থানায় উন্নীত করা হবে। বর্তমানে ওই ফাঁড়িতে দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর ও পাঁচজন কনস্টেবল রয়েছেন। সেখানে একদিকে যেভাবে ভিআইপি দর্শনার্থী আসেন, তেমনই বিশেষ বিশেষ দিনে মারাত্মক ভিড় হয়। বিষয়টিতে নজরদারি করতে হয় ফাঁড়ির স্বল্পসংখ্যক পুলিসকর্মীদের। গোটা মন্দির চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন মাত্র সাতজন পুলিসকর্মী। এবার পূর্ণাঙ্গ থানা তৈরি হলে পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। বেড়ে যাবে পুলিস অফিসার ও কনস্টেবলের সংখ্যা।
বছর দুয়েক আগে জঙ্গি হানার আশঙ্কা রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে বার্তা আসে। তারপর থেকে দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা খুব জোরদার করা হয়। গোটা মন্দির চত্বর সিসিটিভি’তে মুড়ে ফেলা হয়। মেটাল ডিটেক্টর ডোর ফ্রেম লাগানো হয়েছে মন্দিরের প্রতিটি প্রবেশ দ্বারে। এবার সেখানে পূর্ণ মাত্রায় থানা করার প্রস্তাব রয়েছে নবান্নের। সেই সঙ্গে দক্ষিণেশ্বর চত্বরে সৌন্দর্যায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য অত্যাধুনিক স্কাইওয়াক তৈরি করা হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে পঞ্চবটি চত্বর। বসানো হচ্ছে কয়েকটি মূর্তি। আলোর রোশনাইতেই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড থাকছে মন্দির চত্বরে। দর্শনার্থীদের জন্য আধুনিক গেস্ট হাউস তৈরি হবে। এবার নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য থানা তৈরি করে পুলিসি পরিকাঠামো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।