কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১০ বছর আগে পাঁচলার শুভড়ারা গ্রামের বাসিন্দা পেশায় জরি শ্রমিক বাপন দাসের সঙ্গে ভামেরচক গ্রামের বাসিন্দা আনন্দীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাপনের তিনটি ছেলেমেয়ে হওয়ার পর মাস চারেক আগে তাদের আরও একটি পুত্রসন্তান হয়। যদিও সেই সময় বাপন কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকায় ছেলের জন্মের সময় সে বাড়িতে ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের আভিযোগ, মাসখানেক আগে বাপন বাড়ি ফেরার পর থেকেই সেভাবে কোনও কাজ না করে অধিকাংশ দিন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করত। সোমবার রাতেও বাপনের সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা শিশুটিকে মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখে। পরে পাঁচলা থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
মৃত শিশুর মা আনন্দীর বক্তব্য, সোমবার রাতে বাপন মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরার পরে তাঁকে মারধর করলে তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে যান ও পরে মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরলে ছেলেকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। অন্যদিকে বাপন দাসের বক্তব্য রাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হওয়ার পরই তিনি ঘুমিয়ে পড়ার পড়েছিলেন। এদিন সকালে শিশুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পুলিস জানিয়েছে, বাপনের কথায় অসঙ্গতি রয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।