রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বেলা ১২টা নাগাদ বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যরা ওই ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। বেশ কিছু মহিলা সমর্থক পুরসভার গেট টপকে ভিতরে ঢুকে যান। তখনই পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিস লাঠিচার্জ শুরু করে। তারপর শুরু হয় জলকামান। তখন পুরসভার সামনে ধুন্ধুমার বেধে যায়। সাধারণ মানুষ হাওড়া আদালত ও হাসপাতালে ঢুকে নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় ১০ জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজেপির হাওড়া জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, হাওড়া পুরসভায় গত ডিসেম্বর মাসে বোর্ড ভেঙে গিয়েছে। তারপর রাজ্য সরকার এখানে ভোট করায়নি। অগণতান্ত্রিকভাবে পুরসভা চালানো হচ্ছে। মানুষ পুর পরিষেবা পাচ্ছে না। সেই কারণেই এদিন আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলাম। কিন্তু, পুলিস আমাদের আন্দোলনে লাঠি চালাল ও জলকামান ছুঁড়ল। কিন্তু, পুলিস দিয়ে আমাদের দমানো যাবে না। খুব শীঘ্রই ফের পুরসভায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হবে।
হাওড়া পুরসভার পরিষেবা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ অনেকদিন ধরেই রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে জঞ্জাল পরিষ্কার হয় না। পানীয় জলের সমস্যাও রয়েছে। একপশলা বৃষ্টি হলেই শহরের বেশ কিছু এলাকা জলে ডুবে যায়। এছাড়াও ট্রেড লাইসেন্স ও বকেয়া পুরকর মেটাতে সাধারণ মানুষকে এই গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই নিয়ে মানুষের ক্ষোভকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। কেন নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হয়নি, তা নিয়ে এদিন বিজেপি হাওড়া পুরসভার সামনে ‘পুরসভা দখল’ অভিযান করে। সেখানে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল।
এদিন অভিযানের আগে ফ্লাইওভারের নীচে বিজেপি একটি সভাও করে। সকাল থেকেই পুলিস পুরসভাকে কার্যত দুর্গের মতো ঘিরে রেখেছিল। স্টিলের ব্যারিকেড করা হয়েছিল। মজুত ছিল জলকামান। বেলা ১২টার কিছু পরে বিজেপি অভিযান শুরু করে। তারা ব্যারিকেড ভাঙতে গেলে পুলিস বাধা দেয়। এরপর পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে বিজেপি কর্মীরা এগিয়ে যেতে থাকে। এতে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। এরপর পুলিস বেপরোয়া লাঠিচার্জ শুরু করে। চালানো হয় জলকামানও।
প্রায় ঘণ্টাখানেক খণ্ডযুদ্ধ চলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ১০ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিন দুপুরে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব জখম বিজেপি নেতৃত্বকে দেখতে হাসপাতালে যান। পুলিস জানিয়েছে, তাঁদের চারজন কর্মী জখম হয়েছেন। যদিও এই অভিযানকে কটাক্ষ করেছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায়। তিনি বলেন, বিজেপি গায়ের জোরে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। কিন্তু, মানুষ এর প্রতিবাদ জানাবে। এদিন বিজেপি পুরসভা চত্বরে যা করেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।