আর তেত্রিশ দিন বাদে হাওড়ায় লোকসভা ভোট। তার আগে আজ, বুধবার বিজেপির হাত থেকে রামনবমীর রং শুষে নিতে কোমর বেঁধে নামছে রাজ্যের শাসকদল। এবার তারা রামের আরাধনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শহরের রাস্তাঘাট থেকে সরকারি ভবন—নীল-সাদা রঙে সেজেছে আগেই। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল শতাব্দীপ্রাচীন টালা ট্যাঙ্ক। ১১৩ বছর বয়সে এসে বদলে গেল বিশ্বের অন্যতম বড় জলাধারের বাইরের দেওয়ালের রং।
মরিচা প্রাথমিক স্কুলে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন রানিবালা সরকার। নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য মুখিয়েই থাকে সবাই। তাহলে রানিবালার কথা আলাদা করে উঠছে কেন? উঠছে কারণ, রানিবালার বয়স ১০৪ বছর।
রাজ্যে বামেদের ভোটব্যাঙ্কে ক্ষয় নতুন কিছু নয়। কিন্তু হুগলির শ্রীরামপুর লোকসভার উত্তরপাড়া বিধানসভা এলাকায় এলে ঢোঁক গিলতে হবেই। ক্ষয় এখানেও আছে। ‘তোমার শত্রু, আমার শত্রু তৃণমূল’— এই স্লোগান তুলে ‘রামে-বামে’ মিশে যাওয়ার নজির আছে।
১০ থেকে ১৫ এপ্রিল। এই ছ’দিনে খাস কলকাতা থেকে উধাও ৭ নাবালিকা। ভোটের আগে লালবাজারের কাছে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জমা পড়েছে। নিখোঁজ নাবালিকাদের সবাই দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব কলকাতার বাসিন্দা।
একতলার ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে রান্নার গ্যাস চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনাকে অজুহাত করেই ঘরের সামনে ও ডাইনিংয়েও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছিলেন অভিজিৎ হালদার ওরফে বাপ্পা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, সিসি ক্যামেরা লাগানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল স্ত্রীর উপর নজরদারি চালানো।
বাংলা নববর্ষের রেশ এখন ফুরোয়নি। অন্যদিকে, রামনবমী, হনুমান জয়ন্তীর মতো পুজোপার্বণ দোরগোড়ায়। এই আবহে পুজোতেই প্রচারের সুর বেঁধেছেন হুগলি লোকসভার দুই প্রার্থী। দু’জনেই তারকা।
কর্মীর অভাবে ধুঁকছে দেশের প্রথম মেট্রো রুট। এর ফলে কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো পথে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের মানও ক্রমশ তলানিতে ঠেকেছে। সংশ্লিষ্ট করিডরের প্রতিটি স্টেশনেই কর্মীর অভাব টের পাচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা ১৫ মিনিট। আচমকা উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের রাজাপুর থানার সবিতা ভক্তা স্মৃতি প্রাথমিক স্কুলে বেজে উঠল ঘণ্টা। এতে কিছুটা অবাক হয়েছিলেন আশপাশে থাকা অভিভাবকরা। কারণ ওই সময় তো স্কুলে ছুটির ঘণ্টা পড়ার কথা নয়।
তীব্র দাবদাহে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তার মধ্যেই প্রচারে বেরতে হচ্ছে প্রার্থীদের। সঙ্গে থাকছেন স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। গরমের হাত থেকে বাঁচতে কিছুটা হেঁটেই জিরোতে দেখা যাচ্ছে কর্মী-সমর্থকদের।
উত্তর কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল যেন থামছেই না! এবার দলের ‘প্রভাবশালী’ অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আমরণ অনশনে বসলেন ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মোনালিসা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। দেশ তথা রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে সাতদফা ভোট করতে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ মে, পঞ্চম দফায় রাজ্যের বেশ কয়েকটি লোকসভা আসনের পাশাপাশি উলুবেড়িয়াতেও নির্বাচন হবে।
পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে ধস নামানোর পর এবার দুর্গাপুজোয় শাসকদলের একচ্ছত্র আধিপত্যে জোর আঘাত হানতে চলেছে বিজেপি। খোদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে কলকাতার একাধিক নামী পুজো কমিটির নিয়ন্ত্রণের রাশ নিজেদের হাতে আনতে মাঠে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এক্ষেত্রে ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি পুজো উদ্বোধনে দেশের একাধিক হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দিয়ে ফিতে কাটার ‘প্যাকেজ’ও থাকছে। দিল্লি সূত্রের দাবি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বড় মাপের পুজো উদ্বোধনে আসার জন্য সম্মতি দিতে পারেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। লোকসভা ভোটে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। গত আট-দশ বছরে শহরের নামী পুজোয় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে উৎসবে রাজনীতির ছোঁয়া পড়েছে। বামেরা আদর্শগত কারণে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সরাসরি অংশ না নেওয়ায় কার্যত ফাঁকা মাঠে ‘গোল’ করছিল শাসকদল। এবার ‘বাঙালি আবেগ’-এর আরও কাছাকাছি পৌঁছতে দুর্গাপুজো নিয়েও তৃণমূলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল বিজেপি।
শুধু তাই নয়, বিজেপিকে আরও বেশি ‘বাঙালির পার্টি’ করে তুলতে দুর্গাপুজোয় গেরুয়া শিবিরের প্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই সূত্রে ধরে শহরের নামী পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির কলকাতা উত্তর জেলা সভাপতি দীনেশ পাণ্ডের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের আট-দশটি পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই কমিটিতে স্থানীয় বিজেপি প্রতিনিধিদের ঢুকিয়ে পুজো সফল করতে সবরকম সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি আরও খানতিরিশেক পুজোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি জায়গায় এবার বিজেপির তরফে স্টল দেওয়া হবে। একই সুর বিজেপির কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির জেলা সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তাঁর কথায়, কয়েকবছর আগে মুখ্যমন্ত্রী যে কমিটির থিম তৈরি করে দিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। ক্লাবগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প এবং উদ্বোধনে দিল্লির মন্ত্রীদের নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেন সোমনাথবাবু। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা পুজোয় বিশ্বাস করি। দশভুজার আরাধনায় আমরা দলগতভাবে শামিল হব। আমিও একাধিক পুজোর উদ্বোধনে যাব। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, কলকাতা, রায়গঞ্জের পাশাপাশি দিল্লির পুজো উদ্বোধন করব।
শুধু তাই নয়, বিজেপিকে আরও বেশি ‘বাঙালির পার্টি’ করে তুলতে দুর্গাপুজোয় গেরুয়া শিবিরের প্রতিনিধিদের প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারই সূত্রে ধরে শহরের নামী পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির কলকাতা উত্তর জেলা সভাপতি দীনেশ পাণ্ডের দাবি, তাঁরা ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের আট-দশটি পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই কমিটিতে স্থানীয় বিজেপি প্রতিনিধিদের ঢুকিয়ে পুজো সফল করতে সবরকম সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি আরও খানতিরিশেক পুজোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি জায়গায় এবার বিজেপির তরফে স্টল দেওয়া হবে। একই সুর বিজেপির কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির জেলা সভাপতি সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তাঁর কথায়, কয়েকবছর আগে মুখ্যমন্ত্রী যে কমিটির থিম তৈরি করে দিয়েছিলেন, তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে। ক্লাবগুলির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প এবং উদ্বোধনে দিল্লির মন্ত্রীদের নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতির কথাও উল্লেখ করেন সোমনাথবাবু। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা পুজোয় বিশ্বাস করি। দশভুজার আরাধনায় আমরা দলগতভাবে শামিল হব। আমিও একাধিক পুজোর উদ্বোধনে যাব। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, কলকাতা, রায়গঞ্জের পাশাপাশি দিল্লির পুজো উদ্বোধন করব।
