গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ৬ জুন বেলা ১২টা নাগাদ কর্তৃব্যরত অবস্থায় নিজের অফিসে শাসকদলের হাতে রক্তাক্ত হন সন্দেশখালি-২ বিডিও কৌশিক ভট্টাচার্য। বিডিও অফিসে ঢুকে তৃণমূল কংগ্রেসের ওই নেতারা এবং একদল কর্মী তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। প্রায় ২০-২৫ জন মিলে তাঁকে মাটিতে ফেলে পেটায়। প্রমাণ লোপাটের জন্য শাসকদলের লোকজন বিডিও অফিসের ভিতরের সিসি টিভিও ভাঙচুর করে দিয়েছিল। এমনকী, সিসি টিভির স্টোরেজ ইউনিটের হার্ডডিস্কও খুলে নিয়ে যায়। পাশাপাশ, অফিসেও যথেচ্ছভাবে ভাঙচুর চালিয়ে। কান দিয়ে রক্ত বের হওয়া অবস্থায় বিডিওকে ওইদিনই বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরদিন তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনি ছুটিতে রয়েছেন।
এই ঘটনায় ওইদিনই বিডিও পুলিসের কাছে সন্দেশখালি-২ ব্লকের বেড়মজুর-২গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা, সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান দিলীপ মল্লিক এবং সন্দেশখালি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি রাফসের আলি মোল্লার নামে এফআইআর দায়ের করেন। বিডিও অভিযোগে লিখেছিলেন, বেড়মজুর-২গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা প্রথম তাঁর গায়ে হাত তোলেন। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ গত ৭ জুন রাতে পুলিস সরিফুল মোল্লা, মণিরুল নস্কর ও আলকেশ মোল্লা নামে তিনজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসের দাবি, মারধরের ঘটনায় ধৃতরা ছিল। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু, মূল অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অনেকে বলছেন, একজন বিডিও ব্লক প্রশাসনের সর্বোচ্চ আধিকারিক। তাঁর অফিসের ভিতরে ঢুকে তাঁকেই পেটানো হল। বিডিও এখনও অফিসে আসতে পারছেন না। ছুটি দিয়ে বাড়িতে রয়েছেন। ঘটনার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেল। খোদ বিডিও’কে মারধর করার ঘটনায় যদি প্রকৃত দোষীরা গ্রেপ্তার না হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কাছে কী বার্তা পৌঁছবে? নিজের অফিসে একজন বিডিও’র যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কী হবে? এ ব্যাপারে পুলিস অফিসার বলেন, এফআইআরে যে দু’জন পঞ্চায়েত প্রধান এবং একজন পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতির নাম রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। ১০ দিন পরেও তাদের গ্রেপ্তার কেউ গ্রেপ্তার হল না? তিনি বলেন, তারা পলাতক। তারা অগ্রিম জামিন নিয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, ওই ব্যাপারে কোনও কাগজ আমরা পায়নি। তদন্ত চলছে।