কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের ছোটো শহরগুলিতে আগামী বছরের গোড়াতেই পুরসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই পুরসভা এলাকাগুলি নিয়ে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ চুড়ান্ত করার জন্য মঙ্গলবার রাজ্যের সমস্ত কাউন্সিলারদের নিয়ে আলাদা করে ফলাফলের পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এজন্য অন্যান্য জেলাগুলির মতো হুগলি জেলার কাউন্সিলারদেরও হাজির হওয়ার জন্য দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সভাকে ঘিরে জেলার চেয়ারম্যান কাউন্সিলররা তটস্থ হয়ে আছেন। বিশেষ করে যে সমস্ত এলাকায় দলের ভরাডুবি হয়েছে। বৈঠকে নেত্রীর মুখোমুখি হওয়ার আগে কাউন্সিলার-চেয়ারম্যানেরা হোমওয়ার্কের পাশাপাশি নিজেদের আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি সাজাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, নিজের ওয়ার্ডে জিতলেও পুরসভায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি। তাই দিদি কখন, কি বলবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।
লোকসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফল অনুযায়ী হুগলির বাঁশবেড়িয়া পুরসভার ফলাফল সবথেকে খারাপ। পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও অধিকাংশ সিআইসি সহ ১৯টিতে মোট ১৭ হাজার ভোটে এগিয়ে আছে বিজেপি। চুঁচুড়া পুরসভার ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও, পুরসভা এলাকা থেকে ২ হাজার ৭০ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। ভদ্রেশ্বর পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে থাকলেও, পুরসভা থেকে ২৭৩ ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপ। অন্যদিকে, প্রায় আটমাস আগে বোর্ড ভেঙে দেওয়া চন্দননগর পুরনিগমের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২২টিতে ৩ হাজার ১৯৮ ভোটে তৃণমূল লিড পেয়েছে। তবে বিদায়ী মেয়রের ওয়ার্ডে শাসক দল পরাজিত হয়েছে। ডানকুনি পুরসভায় তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৬ হাজার ৫৩৫ ভোটে লিড পেলেও পুরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১টি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। উত্তরপাড়া পুরসভায় ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে তৃণমূল লিড নিয়েছে। কোন্নগর পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টি ওয়ার্ডে তৃণমূল লিড পেয়েছে। শ্রীরামপুর পুরসভা এলাকায় ভোট বাড়িয়েছে তৃণমূল। এখানে ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২০টি আসনে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ ভোটে লিড নিয়েছে শাসক দল। রিষড়া পুরসভার ২৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র ৯টি ওয়ার্ডে লিড পেয়েছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৭ হাজার ভোটে তৃণমূলের পরাজয় হলেও, বিধানসভা নির্বাচনের তুলনায় পুরসভা এলাকায় প্রায় ১০ হাজার ভোট বাড়িয়েছে শাসক দল। চাঁপদানির ২২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২টি ওয়ার্ড নিজেদের দখলে রাখলেও ২ হাজার ৩০০ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল।