রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য তথা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় বলেছেন, মানুষের দৈনন্দিন যে সমস্ত চাহিদা থাকে, সেগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে। এই গরমে কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা হচ্ছে। এই সমস্যা মেটাতে পুরসভার জলদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বকেয়া কর ও ট্রেড লাইসেন্সও যাতে অনলাইনে করা যায়, সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে। কারণ মানুষ যাতে কোনওভাবে দুর্ভোগে না পড়েন, সেদিকে নজর রাখাই পুরসভার প্রধান কাজ।
হাওড়া পুরসভা এলাকায় কর আদায় নিয়ে দীর্ঘদিনের সমস্যা হচ্ছে। পুরসভা নতুন হারে কর ধার্য করেছিল। কিন্তু ওই কর কাঠামো নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ছিল। পুরসভার বোর্ড ভেঙে যাওয়ার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, নতুন কর কাঠামো কোনওভাবেই প্রযোজ্য হবে না। পুরনো হারেই কর দেওয়া যাবে। নতুন কর কাঠামো হওয়ার ফলে যাঁদের কর এক ধাক্কায় অনেকখানি বেড়ে গিয়েছিল, তাঁরা তখন কর দেননি। ফলে তাঁদের বকেয়া কর রয়ে গিয়েছিল। এবার ওই পুরনো হারেই বকেয়া কর উদ্ধারের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে পুরসভা। কারণ কর আদায় না হলে পুরসভার নিজস্ব আয় বৃদ্ধি হবে না। এদিকে অক্টোবর মাসে যে ৪১৯ জনকে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের বেতনও এতদিন আটকে ছিল। এবার তাঁদের বেতন বকেয়া সহ দিয়ে দেওয়া হবে বলে পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে তাঁদের বেতন বাবদও পুরসভার বিপুল টাকা ব্যয় হবে। এই টাকা দিতে গেলে পুরসভাকে কর আদায়ে আরও সক্রিয় হতে হবে।
কিন্তু গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে কর দিতে সাধারণ মানুষ চরম বিপাকে পড়ছেন। তাই বকেয়া কর যাতে অনলাইনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় ও ট্রেড লাইসেন্স যাতে অনলাইনে করা যায়, সেদিকে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। এতে পুরসভার আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি সাধারণ মানুষও কম নাজেহাল হবেন। এবার হাওড়া পুরসভা এলাকার অন্তত ২০টি ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। তাই দৈনন্দিন পরিষেবায় যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে, সেদিকে নজর রাখার পাশাপাশি পুরসভায় বিভিন্ন ধরনের পরিষেবার মান বৃদ্ধির দিকেও নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কিছুটা কমবে বলেই পুরসভার কর্তারা মনে করছেন। আগামী ৪ জুলাই ফের পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর বৈঠক ডাকা হয়েছে। তার মধ্যেই বকেয়া সমস্ত কাজ মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। অনলাইনে বকেয়া কর জমা দেওয়া ও ট্রেড লাইসেন্স পদ্ধতি অনলাইনে করা নিয়ে কতটা কাজ এগিয়েছে, তাও ওই দিন খতিয়ে দেখা হবে।