গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এক পুরকর্তা জানান, পুর এলাকার কাজের ক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেকদিনই কাউন্সিলারদের কাছ থেকে এ’ধরনের বিভিন্ন কাজের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু, সরকারি কাজের ক্ষেত্রে টেন্ডার প্রক্রিয়া এবং তারপরে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করতে অনেক বিলম্ব হয়ে যায়। ফলে অনেকক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এই অবস্থাতেই কাউন্সিলারদের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছিল, এই কাজ দ্রুত কীভাবে করা যায় সেবিষয়ে পদক্ষেপ করুক পুরসভা। অবশেষে সম্প্রতি মাসিক অধিবেশনে পুরসভার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে এক লক্ষ টাকার মধ্যে কোনও জরুরি পরিষেবা করতে আর টেন্ডার বা ওয়ার্ক অর্ডারের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। দ্রুত সেই কাজ শুরু করে সাতদিনের মধ্যেই তা শেষ করে দেওয়া হবে। শীঘ্রই এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে বিধাননগর পুরসভা।
এক কাউন্সিলার জানান, মূলত এলাকায় সবথেকে বেশি সমস্যা দেখা দেয় আলো খারাপ হয়ে যাওয়া। যখন-তখন যে কোনও রাস্তার আলো খারাপ হয়ে যেতে পারে, কিন্তু টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্য দেরি হওয়ায় দীর্ঘদিন সেই এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এর ফলে বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়াও পানীয় জল বা স্যুয়ারেজ লাইন অনেক সময় ফেটে গিয়ে বিপত্তি দেখা যায়।
একইভাবে পাড়ায় জঞ্জাল জমে রয়েছে। কিন্তু, ভ্যান খারাপ থাকায় তা সংগ্রহের কাজ হামেশাই ব্যাহত হয়। এরকম ক্ষেত্রে এবার থেকে আর সরকারি টেন্ডার প্রক্রিয়ার জটিলতার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তাই সাধারণ মানুষকে আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া যাবে বলেই কাউন্সিলাররাও মনে করছেন। একইসঙ্গে পুরসভার জঞ্জাল বিভাগের এক কর্তা জানান, সামনেই বর্ষা আসছে। এই সময় অত্যধিক বৃষ্টির কারণে জল জমার সমস্যা হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু, অনেক সময় পাম্প খারাপ থাকায় পদক্ষেপ করতে সমস্যা হয়। এবার থেকে তা আর হবে না বলেই তিনি দাবি করেন। এর ফলে নাগরিক জরুরি পরিষেবা আরও ভালোভাবে দেওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে, বর্ষার প্রাক্কালে ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে ইতিমধ্যে সর্বত্র সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুরসভা থেকে আগাম পদক্ষেপ বা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও অনেক সময়েই নতুন নতুন এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। সেই সময়েও এরকম জরুরি পরিষেবার প্রয়োজন হয়। কিন্তু, টেন্ডার ডাকা এবং ওয়ার্ক অর্ডার জারি করার জেরে সেই কাজও কিছুটা হলে ব্যাহত হত। এবার তা হবে না বলেই আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরাও। এদিকে, পুরসভার এক কর্তা আরও জানান, পুর আইনেই এবিষয়ে পুরসভাকে ক্ষমতা দেওয়া রয়েছে। কিন্তু, পুরসভার নিজস্ব কোনও বিজ্ঞপ্তি না থাকাতে এতদিন আইনটি কার্যকর সেভাবে হয়নি। এবার তা হবে বলেই পুরকর্তারাও আশাবাদী।