কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সেই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন এক নার্স। তাঁকে বলতেই নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নার্স বললেন, ওয়ার্ডে যদি নিয়মিত রোগীর দেখভাল না হয়, আমরা কী করতে পারি! সিস্টার ইনচার্জের কাছে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র লিখে দিয়ে যান। ইঞ্জেকশনও দিতে হয় মুমূর্ষু রোগীকে। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির কারণে সেই রুটিন চেক-আপ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ফলে যাঁরা ভর্তি রয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসাও ঠিকমতো করতে সমস্যা হচ্ছে।
কিছুটা এগিয়ে গিয়ে দেখা গেল, এসএসকেএম হাসপাতালে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের সামনে বসা এক ডাক্তারি পড়ুয়ার হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড। বসে রয়েছেন আরও অনেক পড়ুয়া। তাঁদের কথায়, অনেকবার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও নিরাপত্তার জন্য কিছু করেনি। আমরা কেউ বহিরাগত নই। এটা মুখ্যমন্ত্রীকে মানতে হবে। উনি যা বলবেন, সেটাই মেনে নিতে হবে? আমাদের প্রতিবাদ আরও দীর্ঘায়িত হবে।
খাঁ খাঁ করছে হাসপাতালের বহির্বিভাগ। জরুরি বিভাগের বাইরে মাঝেমধ্যে এসে দাঁড়াচ্ছে অ্যাম্বুল্যান্স। জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে। তাই দু’-তিনজন রোগী আসছেন। কিন্তু তাঁদেরকে সামলানোর মতো তেমন চিকিৎসক বা নার্সও নেই। একসঙ্গে একাধিক রোগী এসে গেলে সমস্যা চরমে উঠছে বলে দাবি করলেন সেখানকার এক নার্স। বললেন, মুখ্যমন্ত্রীর একটু নমনীয় হওয়া উচিত মানুষের স্বার্থে, রোগীদের স্বার্থে। কতবার নিগৃহীত হব বলুন! রাজ্য কেন যে কঠোর আইন তৈরি করছে না, জানি না। বলতে বলতেই তিনি নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ঘর এবং সংলগ্ন চত্বরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হাতে গোনা রোগীর পরিজনরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমে এসে জরুরি বিভাগ খুলিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পরিষেবা দেওয়ার লোকজন কোথায়? পা রক্তাক্ত অবস্থায় নবীন চক্রবর্তী নামে এক বৃদ্ধকে নিয়ে ওই বিভাগে ঢুকছিলেন তাঁর পরিজনরা। কিন্তু তাঁরা ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেন। তাঁর ছেলে বললেন, জরুরি বিভাগে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। এটা তো ভাবাই যায় না। চিকিৎসকদেরও বা দোষ দিয়ে লাভ কী? একজন-দু’জন কতজনকে সামলাবেন! চেষ্টা তো করছেন।
ইতিমধ্যে জানা গেল, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর ‘বিশেষ দূত’ হিসেবে এসএসকেএসে এসেছেন দলের পর্যবেক্ষক হিসেবে রাজ্যের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত বি পি সিং। তিনি হাসপাতালের সুপারকে স্মারকলিপি দেন এবং মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সঙ্গে কথাও বলেন।