গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে জগদ্দল বাজারের সামনে ঘোষপাড়া রোডের উপর বোমাবাজি হয়। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে পুলিস যাচ্ছিল। কে বা কারা বোমাবাজি করেছে তা দেখতে পুলিস বাজার এলাকায় তল্লাশি শুরু করে। শনিবার সকালে ব্যবসায়ীরা দেখেন, বেশ কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। কয়েকটি দোকানে আলু, পেঁয়াজ, ওজন করার কাঁটা মেশিন এবং ক্যাশবাক্স থেকে টাকাও লুট হয়েছে। অনেকে পুলিসের দিকে অভিযোগ তোলেন। অনেকে আবার ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করেন।
রাতের ওই ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা এদিন সকাল থেকে সমস্ত দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। পরে, তাঁরা জোটবদ্ধভাবে ঘোষপাড়া রোডে অবরোধে শামিল হন। রাস্তার সামনে ভ্যান, বেঞ্চ রেখে অবরোধ চলতে থাকে। অবরোধের জেরে ঘোষপাড়া রোড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। অবরোধকারীদের মধ্যে থেকে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া শুরু হয়। এরপরই পুলিস লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। রাস্তায় আড়াআড়িভাবে রাখা ভ্যান, বেঞ্চ সব কিছু সরিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাস্থলে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান সৌরভ সিং, স্থানীয় বিধায়ক পবন সিং যান। তাঁরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেন।
পুরসভার চেয়ারম্যান সৌরভ সিং বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে একাধিক ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর, লুট হয়েছে। পুলিস করেছে বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। পুলিস যদিও অস্বীকার করেছে। কে বা কারা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তা পুলিসকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। আর যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুলিস লিখিত জমা দিতে বলেছে। ঠিক হয়েছে, এদিন থেকে ওই বাজারে পুলিস পিকেট থাকবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে চারজন প্রতিনিধি থাকবেন। সংসদ সদস্য অর্জুন সিংয়ের নির্দেশ মতো ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আমরা আর্থিকভাবে সাহায্য করব।
অন্যদিকে, জগদ্দল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মহেশপ্রসাদ সাউ বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে বাজারের সামনে বোমাবাজি হয়েছিল। দুষ্কৃতীদের খুঁজতে পুলিস বাজারে অভিযান করেছিল। পরে, দোকান ভাঙচুর, লুট কারা করল তা তদন্ত করার দাবি জানিয়ে এদিন আমরা অবরোধে শামিল হয়েছিলাম। সেখানে কিছু বহিরাগত ঢুকে পড়েছিল। তারা পুলিসকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে। পুলিসের একটি গাড়িও ভাঙচুর হয়। এরসঙ্গে ব্যবসায়ীরা কেউ জড়িত নেই। ইট ছোঁড়ার পর পুলিস লাঠিচার্জ করে। সংসদ সদস্য অর্জুন সিং, চেয়ারম্যান সৌরভ সিং সকলে পুলিসের সঙ্গে কথা বলেন। আমরাও পুলিসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। সমস্য মিটে গিয়েছে। এদিন বিকেল থেকে আমরা দোকান খুলেছি।