কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
হাওড়া পুরসভা এলাকাকে ডেঙ্গুপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া পুরসভা লাগোয়া যে তিনটি ব্লক রয়েছে, সেখানেও ডেঙ্গুর প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। সেই কারণে এবার বর্ষা আসার আগে থেকেই এই এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে, কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, তার দেখার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের এখন থেকেই বাড়ি বাড়ি যেতে হবে। বর্ষার সময় ব্লিচিং পাউডার বা মশা মারার তেল কোনও কাজে আসে না। কারণ বৃষ্টিতে তা ধুয়ে যায়। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর মশা মারার তেল বা ব্লিচিং পাউডার বা মশা মারার তেল দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, সবার আগে লক্ষ্য রাখতে হবে, যাতে কোথাও জল জমে না থাকে। অনেক বাড়িতে ফুলদানিতে দিনের পর দিন জল রেখে দেওয়া হয়। ওই জলেও মশার লার্ভা জন্মাতে পারে। এই নিয়ে মানুষকে সতর্ক করে দিতে হবে ও তার জন্য বাড়ি বাড়ি প্রচার অভিযানে জোর দিতে হবে। এছাড়াও বাড়ি ছাদে অব্যবহৃত টব বা কোনও পাত্র পড়ে থাকলে তাতে বৃষ্টির জল জমে থাকতে পারে। ওই জলেও ডেঙ্গুর মশা ডিম পারতে পারে। তাই বাড়ির ছাদও ভালো করে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ফ্রিজের পিছনে জল ধারণের যে জায়গা থাকে, সেখানেও যাতে জল জমে না থাকে, তা দেখার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরদারি চালাতে হবে।
এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা বলেছেন, কোনওভাবেই ডেঙ্গু যাতে না ছড়ায়, সেদিকে নজরদারি চালাতে হবে। কারণ, ডেঙ্গুতে একজনেরও যাতে এবছর মৃত্যু না হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতিগুলিকে কাজ করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ডেঙ্গু নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রতিটি পুরসভা ও পঞ্চায়েত সমিতিকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু, যেহেতু হাওড়া পুরসভা এলাকা ডেঙ্গুপ্রবণ বলে চিহ্নিত হয়ে আছে, তাই এদিন বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছিল।