রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির উঠোনের পাশে কলতলা থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ হয়। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাতেই বিজেপি নেতৃত্ব হাসপাতালে যান। দলীয় কর্মী খুন হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকেও জানান। এদিকে, শুক্রবার থেকেই মৃত সরস্বতীদেবীর রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয় জলঘোলা। তৃণমূল নেতৃত্ব এদিন সকালে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের একটি বিজয় মিছিলে থাকা তাঁর ছবি প্রকাশ করে বলেন, তিনি তৃণমূলের কর্মী ছিলেন। সরস্বতীদেবীর স্বামী শুভঙ্করবাবুও সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা তৃণমূল কংগ্রেস করি। বিজেপি করি না।
এদিকে, এদিন সরস্বতীদেবীর ছেলে সুমন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার মা বিজেপি করতেন। বিজেপি নেতৃত্ব একেবারে সম্প্রতি সময়ের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে। গত ৬ জুন সন্দেশখালির শিথলিয়া এলাকায় বিজেপি সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল। সেখানে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সরস্বতীদেবীর ছবি রয়েছে। ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় দলীয় কর্মীদের মৃতদেহ নিতে তিনিও হাজির ছিলেন বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।
হাসনাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা ও সংস্কৃতি কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, সরস্বতী দাস আমাদের দলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে। এটা কাম্য নয়। আমাদের সবার উচিত, খুনিরা যাতে শাস্তি পায় সেটা দেখার। অন্যদিকে, বিজেপির বসিরহাট জেলার সভাপতি গণেশ ঘোষ বলেন, সরস্বতী দাস আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আগে তিনি তৃণমূল করতেন। বর্তমানে আমাদের দলেই ছিলেন। আমাদের কর্মীর মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। গত রবিবার বসিরহাট জেলা হাসপাতালে যখন তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল, তখনও উনি বলেছিলেন, তাঁর প্রাণ সংশয়ে রয়েছে।
এক পুলিস অফিসার বলেন, সরস্বতীদেবীর স্বামী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি কারও নামে অভিযোগ করেননি। একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কে বা কারা খুন করল এবং কেন খুন করল তা এখনও জানা যায়নি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।