গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এটিএমগুলি ব্যাঙ্কের নামে থাকলেও, তাতে টাকা ভরার কাজটি আউটসোর্সিং করা হয়। অর্থাৎ এটিএমে টাকা ভরার দায় ব্যাঙ্কগুলির থাকে না। টাকা ভরার কাজটি আরও বেশি সুরক্ষিত করতে গত বছর একগুচ্ছ নির্দেশিকা দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সেই সংস্থাগুলির ব্যবসা চালানোর মূলধন অন্তত ১০০ কোটি টাকা থাকা থেকে শুরু করে টাকা নিয়ে যাওয়ার ভ্যানের পরিকাঠামো সংক্রান্ত সেই নির্দেশিকায় চোখ কপালে ওঠে অনেকেরই। এটিএমের সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলির সংগঠন কনফেডারেশন অব এটিএম ইন্ডাস্ট্রি জানিয়ে দেয়, ওই আরবিআইয়ের দেখানো পথে চলতে গেলে গুটিয়ে ফেলতে হবে এটিএম ব্যবসা। একটু গ্রামের দিকে চালু আছে, এমন এটিএমগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। তাদের হিসেবে, খরচ বাঁচাতে দেশজুড়ে প্রায় এক লক্ষ এটিএম বন্ধ হয়ে যাবে ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে, যা মোট এটিএমের প্রায় অর্ধেক।
কিন্তু এটিএম কি সত্যিই কমেছে? এ রাজ্যের নিজস্ব হিসেব বলছে, এটিএম কমেনি, বরং বেড়েছে। যেখানে ২০১৫ সালে বাংলায় এটিএমের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৭৩২টি, সেখানে ২০১৬ সালে তা দাঁড়ায় ১০ হাজার ৫৮১টিতে। ২০১৭ সালের জুনে সেই সংখ্যা পৌঁছয় ১০ হাজার ৯২৬টিতে। গত মার্চ পর্যন্ত তা বেড়ে হয়েছে ১১ হাজার ৩৩৮। যেখানে এটিএমের সংখ্যা অর্ধেক হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে কেন কমল না এটিএম? ব্যাঙ্ককর্মীদের বক্তব্য, এটিএম চালু রাখার খরচ বেড়ে গেলে, তা কমানোর সব থেকে সহজ পথ নিরাপত্তা কর্মী ছাঁটাই করা। গোটা দেশের পাশাপাশি সেই কাজটিই জোর কদমে চলছে এ রাজ্যেও। বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রাজেন নাগর বলেন, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক আগামী জুলাই থেকে ৪০০ এটিএম নিরাপত্তাকর্মীকে বসিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক চলতি মাস থেকে ৩০ জনকে বসিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি এখন লেবার কমিশনারের আওতায় থাকা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়েছে তারা। দেওয়া হয়নি চার মাসের বেতন। তাঁদের দাবি, রক্ষী কমিয়ে এবং সিসিটিভির মতো ই-সার্ভিল্যান্স প্রযুক্তিভিত্তিক নজরদারি বাড়িয়ে কখনও অপারাধ রোখা যায় না। অপরাধের কিনারা করা যায় মাত্র। কিন্তু টাকা লুট হলে বা গ্রাহকের প্রাণ সংশয় হলে, তার দায় কি ব্যাঙ্কগুলি নেবে, প্রশ্ন তাঁর। এরই প্রতিবাদে রাস্তায় নামতে চলেছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা।
ব্যাঙ্কগুলির দাবি, নোট বাতিলের পর এটিএমগুলিকে আংশিকভাবে নতুন করে গড়তে হয়েছে। কারণ সেখানে নতুন দু’হাজার, ৫০০, ১০০ এবং ৫০ টাকার নোটের জায়গা করতে হয়েছে। তাতে খরচ বেড়েছে। ইউনিয়নের দাবি মেনে ১২ ঘণ্টার বদলে আট ঘণ্টা কাজ করাতে হচ্ছে কর্মীদের। ফলে খরচ বাড়ছে। খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাই ছাড়া উপায় নেই।